কেন্দুয়ায় কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার-২
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
- / ৬৮
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে আবুলায়েছ নামে ১৩ বছরের এক কিশোরকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়াসহ পরিবারের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
ভুক্তভোগীর কিশোরের মা নুরেছা বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে (ধারা ৭০ শিশু আইন, ২০১৩) মামলাটি দায়ের করেছেন।
ওই মামলায় ৬ জন এজাহার নামীয় আসামী। এবং ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে চা দোকানি ও ভিকটিমের চাচা মতিউর রহমান ওরফে অবিশ্বাসকে (৬০)।
মামলা দায়ের পর আটক ইউপি সদস্য সবুজ মিয়া ও মাতাব্বর আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলা দায়ের পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন নানাভাবে প্রাণনাশে হুমকী-ধমকীর শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ করছেন, ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা। তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে শায়েস্তা করা হবে এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা।
বাদী অভিযোগে বলেন, গত ৭ আগষ্ট রাতে ভুক্তভোগী ছেলেকে মোবাইল মিনিট কার্ড আনার জন্য বাজারে পাঠায়। পরে চোর সন্দেহে তাকে আটক করে গ্রামের মানুষের হাতে তুলে দেন প্রধান আসামী চা দোকানি ও ভুক্তভোগীর চাচা মতিউর রহমান ওরফে অবিশ্বাস। রাতে তাকে আটকে নির্যাতন করে এজাহার নামীয় আসামীরা। পরদিন বাজারে ‘সালিশ’ বসিয়ে ভূক্তভোগী কিশোরকে বেত্রাঘাত, মাথা ন্যাড়া ও জরিমানা করে। ভুক্তভোগী কিশোর কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতির পথে বলে জানান, কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা নুরেছা জানান, আমিতো গতকাল থেকেই হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত আছি। বাড়িতে যারা আছে তাদেরকে আসামী পক্ষের লোকজন বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকী-ধমকী দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগীর চাচা লাইচউদ্দিন জানান, আসামী পক্ষের লোকজন প্রকাশে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকী দিচ্ছেন। তারা তো এলাকার প্রভাবশালী তাই আমরা খুব আতঙ্কে আছি। আসামী পক্ষরা আমাদের পরিবারকে শায়েস্তা করতে মিথ্যা মামলা দায়েরের পায়তারা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন পিপিএম জানান, মামলা দায়ের পর আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।