মোঃ শাহাদাত হোসেন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে চতুর্থ শ্রেণির তিনটি শূন্য পদের নিয়োগে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার ও সহসুপারকে অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল সোমবার উপজেলার ময়ামারি দাখিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে ওই দুজনকে উদ্ধার করে।
অবরুদ্ধ দুজনকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকবাল পাশা। তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরুদ্ধ মাদ্রাসা সুপার ও সহসুপার পুলিশের মাধ্যমে মুক্ত হন।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণির তিনটি শূন্য পদে নিয়োগের টাকা মাদ্রাসার উন্নয়ন তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মাদ্রাসার সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন ও সুপার মো. নুরুল ইসলাম ৩০ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা মাদ্রাসার তহবিলে জমা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদ্রাসার সুপার মো. নুরুল ইসলাম ও সহসুপার মো. আজিজুল ইসলামকে অফিসকক্ষে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকার লোকজন। এ সময় মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করার জন্য মাদ্রাসার তহবিলে বাকি টাকা জমা দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল হালিম টুটুল বলেন, ‘তিনটি পদে নিয়োগ দিতে তৎপরতা শুরু করেন মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, মাদ্রাসার সুপার ও সহসুপার। গত ২৭ মে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন তাঁরা। নিয়োগের টাকা মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে নেওয়া হয়েছে।
মো. আব্দুল হালিম টুটুল আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসার সুপারের কাছে নিয়োগের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেন তিনি। আজ আমরা সুপারের কাছে জানতে চাইলে সুপার বলেন, “আমি পারব না কমিটি আমার কথা শোনে না। তাই তাঁকে ও সহসুপারকে অফিসে তালা মেরে অবরুদ্ধ করা হয়।
মো. সাইরুল ইসলাম নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা মাদ্রাসার দাতা সদস্য। এখনো মাদ্রাসা আমাদের প্রায় ১৫ লাখ টাকার জমি কাগজপত্র ছাড়াই ভোগ করছে। জমির বিনিময়ে আমার ছোট ভায়ের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটি টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে নিয়োগ দিয়েছে এবং আমাদের জমিও বুঝিয়ে দিচ্ছে না। ওই টাকা মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা দেননি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মো. নুরুল ইসলাম ও সহসুপার মো: আজিজুল ইসলাম কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা বলেন, আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনি উনার কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে আমাকে জানাবেন।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না