১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

দূর্গাপাশা ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিওব্যাক ও ব্লক দেওয়ার পরে থেকে বিলীন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৯৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৫ নং দূর্গাপাশা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন বাসি অনেক দিন ধরে মানববন্ধন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পরে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টি নজরে আসলে সরজমিনে এসে পরিদর্শন করে যায়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডে থেকে ভাঙ্গন প্রতিরোধের-কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় সাতশো ১২ কোটি টাকার বরাদ্দ হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে দূর্গাপাশা ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ-৭,৮,৯-তিনটি প্রকল্পের আওতায় ৮,৯ নং ওয়ার্ডের জিওব্যাগে বালু ভরাডের তৎকালীন সময় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।নিম্ন মানের বালু দিয়ে কাজ করলে প্রতিবাদ করার কারনে গত সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে এলাকার একটি কুচক্রি মহল অন্যায়ের পক্ষ নিয়ে। চেয়ারম্যানের গায়ে কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সে সময় দূর্গাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা ও মামলা হামলায় শিকার হয়েছিলেন। আজ দূর্গাপাশা ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। দূর্গাপাশার জনগণ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজ চোখে দেখবে আসলে চেয়ারম্যান তৎকালীন সময়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ সঠিক ছিল।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের ৮,৯ নং ওয়ার্ডের ঘোষকাঠি সাইড ব্লক গেলোসহ ৪০-৫০ শতাংশ জমি নিয়ে নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। এলাকার মানুষের ঠিকানার অস্তিত্বের সাথে যে প্রকল্প জড়িয়ে রয়েছে সেখানে কে বা কাহারা এই দূর্নীতি, অনিয়ম করলো। আজ সরকার বরাদ্দ দেওয়ার পরে ও কেন শুধু মাত্র ব্যক্তি বিশেষ লাভবান হওয়ার কারনে বাকেরগঞ্জ থানার দূর্গাপাশা ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হতভাগা অসহায় দরিদ্র সাধারণ মানুষ গুলো আহাজারি বাপ-দাদার কবরগুলো বিলীন হয়ে না যায়। অনিয়ম ও দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করে সঠিকভাবে জিওব্যাগ ও ব্লক দেওয়ার আহবান সাধারণ জনগণের। এলাকার সাধারণ মানুষ আরও জানতে চায় এর সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।
গোপন সূত্রে, আরো জানা যায় যে,মেঘনা নদীর বালুর পরিবর্তে তেতুলিয়া নদীর কাঁদা মাটি দিয়ে উক্ত জিওব্যাগ ভরাট করে অধিক লাভবান হওয়া জন্য আসল ঠিকাদার, কাজ না করে স্থানীয় কতিপয় লোক কে সাফ ঠিকাদারী দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। তৎকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে হাতাহাত করে নিম্নমানের কাজ করার কারনে আজ ঘোষকাঠি এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ এখন আতংকে দিন রাত কাটাচ্ছে। রাগে ক্ষোভে এলাকার সাধারণ জনতা প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের সাথে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

দূর্গাপাশা ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিওব্যাক ও ব্লক দেওয়ার পরে থেকে বিলীন

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৫ নং দূর্গাপাশা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন বাসি অনেক দিন ধরে মানববন্ধন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পরে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টি নজরে আসলে সরজমিনে এসে পরিদর্শন করে যায়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডে থেকে ভাঙ্গন প্রতিরোধের-কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় সাতশো ১২ কোটি টাকার বরাদ্দ হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে দূর্গাপাশা ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ-৭,৮,৯-তিনটি প্রকল্পের আওতায় ৮,৯ নং ওয়ার্ডের জিওব্যাগে বালু ভরাডের তৎকালীন সময় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।নিম্ন মানের বালু দিয়ে কাজ করলে প্রতিবাদ করার কারনে গত সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে এলাকার একটি কুচক্রি মহল অন্যায়ের পক্ষ নিয়ে। চেয়ারম্যানের গায়ে কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সে সময় দূর্গাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা ও মামলা হামলায় শিকার হয়েছিলেন। আজ দূর্গাপাশা ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। দূর্গাপাশার জনগণ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজ চোখে দেখবে আসলে চেয়ারম্যান তৎকালীন সময়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ সঠিক ছিল।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের ৮,৯ নং ওয়ার্ডের ঘোষকাঠি সাইড ব্লক গেলোসহ ৪০-৫০ শতাংশ জমি নিয়ে নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। এলাকার মানুষের ঠিকানার অস্তিত্বের সাথে যে প্রকল্প জড়িয়ে রয়েছে সেখানে কে বা কাহারা এই দূর্নীতি, অনিয়ম করলো। আজ সরকার বরাদ্দ দেওয়ার পরে ও কেন শুধু মাত্র ব্যক্তি বিশেষ লাভবান হওয়ার কারনে বাকেরগঞ্জ থানার দূর্গাপাশা ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হতভাগা অসহায় দরিদ্র সাধারণ মানুষ গুলো আহাজারি বাপ-দাদার কবরগুলো বিলীন হয়ে না যায়। অনিয়ম ও দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করে সঠিকভাবে জিওব্যাগ ও ব্লক দেওয়ার আহবান সাধারণ জনগণের। এলাকার সাধারণ মানুষ আরও জানতে চায় এর সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।
গোপন সূত্রে, আরো জানা যায় যে,মেঘনা নদীর বালুর পরিবর্তে তেতুলিয়া নদীর কাঁদা মাটি দিয়ে উক্ত জিওব্যাগ ভরাট করে অধিক লাভবান হওয়া জন্য আসল ঠিকাদার, কাজ না করে স্থানীয় কতিপয় লোক কে সাফ ঠিকাদারী দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। তৎকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে হাতাহাত করে নিম্নমানের কাজ করার কারনে আজ ঘোষকাঠি এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ এখন আতংকে দিন রাত কাটাচ্ছে। রাগে ক্ষোভে এলাকার সাধারণ জনতা প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের সাথে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন