যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষেরই ছয়জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের নাভারণ বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকালে উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণপুর গ্রামের হক পাটোয়ারির নিকট থেকে প্রথমে রেহমানিক কৃষ্ণপুর মৌজায় ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয়সূত্রে তিনি চাষাবাদ করে আসছিলেন। পরে একই জমি হক পাটোয়ারির ছেলে আব্দুস সামাদ পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দাবি করে, একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম হেজার নিকট বিক্রয় করেন। উভয় পক্ষ জমি নিজেদের দাবি করেন। এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পরে ক্রয়সূত্রে প্রথম পক্ষ রেহমানিক জমি নিজের দাবি করে যশোর আদালতে একটি মামলা করেন। যে মামলা আদালতে এখনো চলমান রয়েছে। এর মধ্যে রেহমানিকের চাষের ওই জমির পাকা আমন ধান শুক্রবার সকালে রফিকুল ইসলাম হেজা তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে করে নিয়ে যেতে চাইলে, রেহমানিকসহ তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। এতে দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে হেজার লোকজন দেশীয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে নুরুল হুদা (৩০), রনি (২২), ও রেহমানিক (৫০), কে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে।সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নাভারণ বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নুরুল হুদা (৩০), ও রনি (২২), কে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলেন, রেহমানিক (৫০), রফিকুল ইসলাম হেজা (৬৫), তার স্ত্রী সফুরা খাতুন (৬০), ও তার ছেলে মোঃ বাবু (২৭),।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় বর্তমান থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকাবাসি যে কোন মূহুর্তে আবারও দু'পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন। ডিহি ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আল-আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই জনকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোড়পাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারের মাধ্যমে মারামারির ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ আমার নিকট অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না