মাহমুদ হাসান রনি:
সূদুর চীন থেকে প্রেমের টানে পাড়া গাঁয়ে এসে এক মেয়েকে বিয়ে করলেন এক যুবক। পরিবার সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গয়েশপুর গ্রামের দিনমজুর সানোয়ার হোসেনের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুন (২০)'র সাথে দীর্ঘ এক বছর যাবত ফেইসবুকের মাধ্যমে চীন দেশের যুবক সাউই (২৮)'র সাথে পরিচয় হয়। একসময় চীনের ওই যুবক মুনকে বিয়ে করতে চায় বলে জানায়। পরে দুজনের মধ্যে প্রায় ৭/৮ মাস উই চ্যাটের মাধ্যমে কথোপকথন চলে। সম্প্রতি সে চীন থেকে গয়েশপুর গ্রামে আসে ও মেয়ের বাড়িতেই পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
প্রতিবেশী মুনমুন খাতুন বলেন, অন্য সকল বিয়ের চেয়ে রাতে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। কারণ ভীনদেশী ছেলে আর দেশি মেয়ের বিয়ে। আনন্দ ও উল্লাসই ছিল আলাদা। বিয়ের দিনহতে আজ পর্যন্ত আশেপাশের৷ অনেক গ্রামের মানুষেরা বিদেশী জামাইকে দেখার জন্য ছুটে আসছে। মুনের বাবা সানোয়ার হোসেন বলেন,মোবাইলের মাধ্যমে আমার মেয়ের সাথে চীনের ওই ছেলের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর ওই ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে আমরা তাকে আমাদের দেশে আসতে বলি এবং আইন মেনে ধুমধাম করে তাদের বিয়ের ব্যাবস্থা করে দিয়েছি।
মুনের মা আনজুরা খাতুন বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। জামাই অনেক ভাল ও শান্ত স্বভাবের। আমার মেয়েকে জামাই চীনে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
মুন বলেন, সাউইর সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় হয়। পরে বাড়িতে জানালে পরিবারের সকলের পছন্দ হয়। আমার পরিবার রাজি থাকায় প্রায় আট মাস উই চ্যাটের মাধ্যমে কথাবলি। সাউই আমাকে কিছু ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিল। সেগুলো দিয়ে তার সাথে আমি কথা বলি। আর সম্প্রতি সে আমাদের গ্রামে আসলে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।স্বামী হিসেবে সে অনেক ভালো মনের মানুষ।সে সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।তাদের ভাষাগুলো শিখতে আর আমাদের ভাষা তার শিখতে সময় লাগবে।আমরা চেষ্টা করছি। সে বলেছে কিছু দিনের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে আমাকে চীন দেশে নিয়ে যাবে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না