প্রতারনার মামলার আসামী দিপুর মুলহোতা থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
- / ৬১
মোঃসোহাগ হাওলাদার:
চেহারায় আভিজাত্যর ছাপ। পরনে দামি ব্রান্ডের পোশাক। চলাফেরা করে দামি গাড়িতে।একাধিক সেলিব্রেটিদের সাথে ছবি। বলছি প্রতারনার কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে সামরিক বাহিনী থেকে বহিস্কৃত মেহেদী হাসান রুমীর কথা। যিনি হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
মেহেদী হাসান রুমীর দেশের আলোচিত প্রতারক দীপুর প্রধান সহচর হিসাবে কাজ করদেন। সে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে বিশাল সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই প্রতারক চক্র। তবে শেষ রক্ষা হইনি এই চক্রের প্রধান আশরাফুল ইসলাম দিপু। হয়েছেন গ্রেপ্তার। তবে দিপু গ্রেপ্তার হলেও তার প্রধান সহচর ও সহযোগী মেহেদী হাসান রুমী প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন।
মাত্র ২৫ বছর বয়সী এই যুবক ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হারুন শিকদারের ছেলে।
মেহেদী হাসান রুমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকুরীরত অবস্থায় আশরাফুল আলম দিপু ওরফে প্রতারক দিপুর প্রধান সহযোগী হিসাবে বিভিন্ন জেলায় ঘুড়ে বেড়াতো।
প্রতারণার শিকার হয়ে ভাটারা থানায় করা এক ভুক্তভোগীর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)। রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ২০২১ সালে প্রতারক দীপু গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোয়ার বাহিরে থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজের নাম লিখেন প্রতারনার অন্যতম সহযোগী মেহেদী হাসান রুমি(আসাদ)।
উপকূলীয় অঞ্চলের ত্রাণ আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারণার জগতে পা বাড়ায় আশরাফুল আলম দীপু ও তার সহযোগী রুমি। প্রতারণার জন্য সে নিজেকে পুলিশের ডিআইজি থেকে শুরু করে দুদক কমিশনার, এনএসআই পরিচালকের পরিচয় দিত। পাশাপাশি মার্কিন নাগরিক, কখনো স্বনামধন্য নোমান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, কখনো ইসলাম টেক্সটাইলের পরিচালক, আবার কখনো বা গুলশান ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করতো।
প্রতারনার জন্য যখন যে পরিচয় প্রয়োজন সে রুপেই আবির্ভূত হয়ে বনে গেছে কোটি টাকার মালিক। উপকূলীয় অঞ্চলের দাতা সংস্থার দেয়া ত্রাণ আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারণা শুরু করে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্কুলে নিয়োগ, এনএসআইতে চাকরি দেয়া, করোনাকালে মানুষকে সহযোগীতার নামে ‘মানবিক টিম’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন প্রলোভনে যাকে যেভাবে বশে আনা সম্ভব সেটাই করতো আশরাফুল ও মেহেদী হাসান রুমি।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার এসব প্রতারণা হতবাক করেছে সবাইকে। মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলেই টাকা হাতিয়ে নিত। অথচ বাস্তবে কাউকে চাকরি দিতে পারতো না। চাকরিপ্রার্থীদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে শান্তনা দিতো।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহান শিকদার বলেন আমাদের সংগঠনে কোন রকম টাউট বাটপার এবং বাংলাদেশের যে প্রধান দুটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তারাও এই চিটার বাটপার তাদের সংগঠনে যায়গা দিবে না আর আমাদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল টাউট বাটপারি যারা করবে তাদের সদস্য তো দুরের কথা দলেও কোন স্থান নেই। কোন অধিকার নেই আমাদের সাথে রাজনীতি করা,আমার সাথে ছবি ছেড়েছে এটা আমাদের ডিসক্রেডিট।