০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ডেমরায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় চালক খুন: গ্রেফতার-১

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সালে আহমেদ, ডেমরাঃ

রাজধানীর ডেমরায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ে সময় অজ্ঞাতনামা অনুমান (৩৩) এক চালককে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা শাওন হাওলাদারকে(৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠালে ওই দিন বিকালে শাওন এখনের বিষয়ে আদালত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বগুরা এলাকা থেকে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ।
সে পটুয়াখালীর বাউফল থানার সাম কনকদিয়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে (৪ জুলাই) যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ খুনের সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো— মো. ফরহাদ (২৫), মোছা. সুমি (২৫) ও মো. সোহেল (৩২)।
গত বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে সেখানে তারাও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই দিনই আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে গত ১২ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব ডগাইর মহাকাশ রোডে ডিএনডি খালে অবস্থিত কালভার্টের নিচ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দির বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার অপারেশন অফিসার (ইন্সপেক্টর) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, গত ১০ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃত শাওন, ফরহাদ ও সোহেল গুলিস্তান থেকে অজ্ঞাতনামা ওই চালককে ডেমরা মহাকাশ রোড এলাকায় ভাড়ায় নিয়ে আসেন। এ সময় খুনিরা পেছন থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর চালককে খালে ফেলে অটোরিকশা ছিনতাই করে। পরে ওই অটো রিকশাটি খুনিরা ২১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে সুমির কাছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান (পিপিএম) বলেন, চালক খুনের ঘটনায় লাশ উদ্ধারের পর ডেমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিকে ডেমরায় দস্যুতার প্রস্তুতি গ্রহনের অপরাধের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ওই অটোরিকশা চালকের খুনের রহস্যের ক্লু পাওয়া যায়। পরে তদন্ত করে খুনের আসল রহস্য জানা গেছে যা খুনিরা পর্যায়ক্রমে
আদালতে ১৬৪ ধারায় বিস্তারিত স্বীকার করেছে। তবে দ্রুত মৃতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খালের পানিতে লাশ পচে যাওয়ায় আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ডেমরায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় চালক খুন: গ্রেফতার-১

আপডেট সময় : ১২:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সালে আহমেদ, ডেমরাঃ

রাজধানীর ডেমরায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ে সময় অজ্ঞাতনামা অনুমান (৩৩) এক চালককে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা শাওন হাওলাদারকে(৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠালে ওই দিন বিকালে শাওন এখনের বিষয়ে আদালত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বগুরা এলাকা থেকে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ।
সে পটুয়াখালীর বাউফল থানার সাম কনকদিয়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে (৪ জুলাই) যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ খুনের সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো— মো. ফরহাদ (২৫), মোছা. সুমি (২৫) ও মো. সোহেল (৩২)।
গত বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে সেখানে তারাও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই দিনই আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে গত ১২ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব ডগাইর মহাকাশ রোডে ডিএনডি খালে অবস্থিত কালভার্টের নিচ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দির বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার অপারেশন অফিসার (ইন্সপেক্টর) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, গত ১০ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃত শাওন, ফরহাদ ও সোহেল গুলিস্তান থেকে অজ্ঞাতনামা ওই চালককে ডেমরা মহাকাশ রোড এলাকায় ভাড়ায় নিয়ে আসেন। এ সময় খুনিরা পেছন থেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর চালককে খালে ফেলে অটোরিকশা ছিনতাই করে। পরে ওই অটো রিকশাটি খুনিরা ২১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে সুমির কাছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান (পিপিএম) বলেন, চালক খুনের ঘটনায় লাশ উদ্ধারের পর ডেমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিকে ডেমরায় দস্যুতার প্রস্তুতি গ্রহনের অপরাধের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ওই অটোরিকশা চালকের খুনের রহস্যের ক্লু পাওয়া যায়। পরে তদন্ত করে খুনের আসল রহস্য জানা গেছে যা খুনিরা পর্যায়ক্রমে
আদালতে ১৬৪ ধারায় বিস্তারিত স্বীকার করেছে। তবে দ্রুত মৃতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খালের পানিতে লাশ পচে যাওয়ায় আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন