০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

কয়রা সাংবাদিক ফোরাম উদ্যাগে গুনিজন ও প্রতিষ্ঠানের সন্মাননা প্রদান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৫৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন,খুলনা:

যে দেশে “গুনির কদর নেই সে দেশের গুনির জন্ম হয় না। এর কার্যকারিতা থেকে আজও খুব একটা দূরে আসতে পারেনি দেশ। এখনও দেশে গুনিরা অবহেলিত এবং অবহেলার স্বীকার হয়ে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছন ফলে গুনিজনের মূল্যবান সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জাতি। এটি একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। এই ক্ষতি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে না পারলে কোন ধরনের অগ্রগতিই সম্ভব নয়। এই ধারাবাহিকতায় গুনিদের সন্মাননা ও কদরের লক্ষ্যে খুলনার কয়রা উপজেলার ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৮০ জন গুনিব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ হতে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অডিটরিয়মে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কয়রা সাংবাদিক ফোরাম গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়রার শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৫ জন শিক্ষক ও সমাজসেবক, ৩০টি সামাজিক সংগঠন, ১২জন ইয়ুথ আইকন, ১৫জন পল্লী চিকিৎসক, ৮জন কবি সাহিত্যিক কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মো.আক্তারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬) সংসদ সদস্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক দেশের কণ্ঠ ও ডেইলী এক্সপ্রেসের সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেন,কয়রা উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান-বৃন্দ, কয়রা সাংবাদিক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা খায়রুল আলম, উপদেষ্টা মো.হাফিজুর রহমান মিস্ত্রী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক, কয়রা ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি মো.সুরাত,ইমাম পরিষদ কয়রা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো.গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ এবিএম ইমতিয়াজ উদ্দীন, লেখক আ.ব.ম আব্দুল মালেক,শামস উদ্দীন সানা, কবি আব্দুর রাজ্জাক মদিনাবাদী,মনোরঞ্জন মন্ডল,অধ্যক্ষ ড.চয়ন কুমার রায় অন্যান্য গুনি ব্যক্তিবর্গ। উপকূলীয় এলাকার জনগনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর ও স্বাধীনতার পর কয়রা এলাকায় সব থেকে বেশি উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন করায় এবং উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় কয়রা সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ হতে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জামান বাবু কে উপকূল বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুনীব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিতে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জাম বাবু’র অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক দেশের কণ্ঠের সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেন বলেন,আমাদের সমাজে অনেক গুণীব্যক্তি আছেন, আমরা তাদের বেঁচে থাকতে সম্মান জানাই না, প্রশংসাও করি না। যখন সেই গুণী ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নেয়, তখনই যেন আমরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠি।কয়রা সাংবাদিক ফোরাম গুনিদের সম্মাননা দিচ্ছে এটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার, এমন উদ্যোগ কয়রার ইতিহাসে আগে কেহ কখনও নেয়নি। গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,গুনিজদের নিয়ে এমন আয়োজন কয়রায় ইতিপূর্বে হতে দেখেনি।গুনিজনদের সম্মানিত করায় তাঁরা আরো বেশি ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবেন। গুণী ব্যক্তিদের গুণগান না গাইলে, সম্মান না করলে গুণী তৈরি হয় না।মানুষ যখন ভাল কাজের প্রতিদান পাবে তখন অবশ্যই তারা ভাল কাজে উৎসাহিত হবে। গুনিজনদের সম্মাননা জানানো তাঁদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা যোগাবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কয়রা সাংবাদিক ফোরাম উদ্যাগে গুনিজন ও প্রতিষ্ঠানের সন্মাননা প্রদান

আপডেট সময় : ০৯:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোক্তার হোসেন,খুলনা:

যে দেশে “গুনির কদর নেই সে দেশের গুনির জন্ম হয় না। এর কার্যকারিতা থেকে আজও খুব একটা দূরে আসতে পারেনি দেশ। এখনও দেশে গুনিরা অবহেলিত এবং অবহেলার স্বীকার হয়ে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছন ফলে গুনিজনের মূল্যবান সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জাতি। এটি একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। এই ক্ষতি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে না পারলে কোন ধরনের অগ্রগতিই সম্ভব নয়। এই ধারাবাহিকতায় গুনিদের সন্মাননা ও কদরের লক্ষ্যে খুলনার কয়রা উপজেলার ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৮০ জন গুনিব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ হতে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অডিটরিয়মে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কয়রা সাংবাদিক ফোরাম গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়রার শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৫ জন শিক্ষক ও সমাজসেবক, ৩০টি সামাজিক সংগঠন, ১২জন ইয়ুথ আইকন, ১৫জন পল্লী চিকিৎসক, ৮জন কবি সাহিত্যিক কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মো.আক্তারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬) সংসদ সদস্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক দেশের কণ্ঠ ও ডেইলী এক্সপ্রেসের সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেন,কয়রা উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান-বৃন্দ, কয়রা সাংবাদিক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা খায়রুল আলম, উপদেষ্টা মো.হাফিজুর রহমান মিস্ত্রী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক, কয়রা ইউনিয়নের পল্লী চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি মো.সুরাত,ইমাম পরিষদ কয়রা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো.গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ এবিএম ইমতিয়াজ উদ্দীন, লেখক আ.ব.ম আব্দুল মালেক,শামস উদ্দীন সানা, কবি আব্দুর রাজ্জাক মদিনাবাদী,মনোরঞ্জন মন্ডল,অধ্যক্ষ ড.চয়ন কুমার রায় অন্যান্য গুনি ব্যক্তিবর্গ। উপকূলীয় এলাকার জনগনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর ও স্বাধীনতার পর কয়রা এলাকায় সব থেকে বেশি উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন করায় এবং উপকূলীয় পরিবেশ সুরক্ষা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় কয়রা সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ হতে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জামান বাবু কে উপকূল বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুনীব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিতে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জাম বাবু’র অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক দেশের কণ্ঠের সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেন বলেন,আমাদের সমাজে অনেক গুণীব্যক্তি আছেন, আমরা তাদের বেঁচে থাকতে সম্মান জানাই না, প্রশংসাও করি না। যখন সেই গুণী ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নেয়, তখনই যেন আমরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠি।কয়রা সাংবাদিক ফোরাম গুনিদের সম্মাননা দিচ্ছে এটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার, এমন উদ্যোগ কয়রার ইতিহাসে আগে কেহ কখনও নেয়নি। গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মো.আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,গুনিজদের নিয়ে এমন আয়োজন কয়রায় ইতিপূর্বে হতে দেখেনি।গুনিজনদের সম্মানিত করায় তাঁরা আরো বেশি ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবেন। গুণী ব্যক্তিদের গুণগান না গাইলে, সম্মান না করলে গুণী তৈরি হয় না।মানুষ যখন ভাল কাজের প্রতিদান পাবে তখন অবশ্যই তারা ভাল কাজে উৎসাহিত হবে। গুনিজনদের সম্মাননা জানানো তাঁদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা যোগাবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন