ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজে ফাটল, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
- আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
- / ৭৪
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনার-বারহাট্টা সংযোগ সড়কের উপর বারহাট্টা উপজেলাধীন সাহতা ইউনিয়নের ধনাই নদের ওপর সংযোগ সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। গত বর্ষায় মালবাহী ট্রলারের ধাক্কায় সেতুর পিলার ভেঙে যায়। ফলে সেতুটির ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে মালবাহী ট্রলারের ধাক্কায় পূণরায় সেতুটির মাঝখানের দুইটি পিলারের ক্ষতি হয়েছে এবং সেতুতে ফাটল ধরে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাহতা সেতুর নিকটবর্তী পূর্ব এলাকার বাসিন্দা মো. ফুল মিয়া জনান, আজ সকালে একটি মালবাহী ট্রলার যাচ্ছিল। ট্রলারটি যখন সেতুর কাছাকাছি আসে এবং নিচ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আড়াআড়ি ভাবে সেতুর মাঝখানের দুইটি পিলারের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে ফলে পিলার দুইটিতে ফাটল ধরে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণের সময় আমরা এলাকাবাসী সেতুটি আরেকটু উঁচু করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে তাদের খেয়ালখুশিমতো সেতু নির্মাণ করায় এখন আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া সেতু নির্মাণের সময়ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। গত আট বছর ধরে প্রতি বর্ষাতেই এরকম ঘটনা ঘটে। ফলে সেতুটির কয়েকটি পিলার ভেঙে অকেজো হয়ে পড়েছে।
সাহতা সেতুর পশ্চিম এলাকার বাসিন্দা মাঈনুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছরই বর্ষা এলে এরকম ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে নদ থেকে কম উচ্চতায় সেতু নির্মাণ করায় আমরা এই দুর্ভোগের শিকার। বর্ষা মৌসুমে সেতুর গার্ডারের নিচ পর্যন্ত পানি প্রায় ছুঁয়ে যায়। ফলে আজকের দুর্ঘটনার মত প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটে ছলেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
সাহতা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, নেত্রকোনা থেকে সরাসরি বারহাট্টায় যাতায়াতের জন্য সাহতা সেতুটি নির্মাণ আমাদের প্রাণের দাবি ছিল। শুরু থেকেই আমরা সেতুর উচ্চতা বাড়িয়ে নির্মাণের দাবিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দিলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ ছিলেন।
তখন তারা বলেছিলেন, পানির স্তর বাড়লেও নৌ চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না। এখন নদীতে সামান্য একটু পানি বাড়লেই ব্রিজ ছুঁয়ে যায়। ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি সেতুর নিচ দিয়ে ছোট নৌকা চলাচল করতেও কষ্ট হয়।
বারহাট্টা উপজেলা প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দে সেতু পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, সেতুটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।