পচাঁ ডিম দিয়ে কেক বিস্কুট তৈরী, দুই লাখ টাকা জরিমানা
- আপডেট সময় : ১০:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
- / ৬০
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের আল-আমিন নামে একটি বেকারীর কারখানায় নোংরা পরিবেশে পঁচা ডিম, কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরী হয়ে আসছে কেক, বিস্কুটসহ নানা ধরণের মুখরোচক খাদ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য বাজারজাত হচ্ছে শরণখোলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে।
বুধবার (১৪জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়েছে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শরণখোলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুসের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন কারখানা মালিক মো. মিজানুর রহমানকে। এর আগেও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনের জন্য কয়েকবার জরিমানা গুণেছেন এই বেকারীর মালিক।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, আল আমিন বেকারীর কারখানার ভেতরে পঁচা দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে ঢুকতে হয়েছে কারখানায়। এক পাশে থরে থরে সাজানো হাজার হাজার পঁচা ডিম পাওয়া গেছে। এছাড়া, কৌটা ভর্তি ক্ষতিকর কাপড়ের রঙ। যা দিয়ে তৈরী হচ্ছে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। কারখানার ভেতরের নোংরা মেঝেতে তৈরী করা নানা ধরণের খাদ্য পড়ে আছে। এসব খাদ্য চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জে। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে কারখানার মালিককে সতর্ক করে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস জানান, ক্ষতিকর রঙের তৈরী খাবার জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এসব খাবার খেয়ে ক্যান্সার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শিশু স্বাস্থ্যের জন্যএসব খাবার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
অভিযান কালে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৌরভ চন্দ্র বর্মণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যাবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভাপতি বাবুল সরদার, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুকুমার চন্দ্র সিকদার, রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।