০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

সোনারগাঁয়ে লোডশেডিং ও গরমে চার্জার ফ্যানের সংকট, চড়াদামে বিক্রয়ের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ৬৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাজহারুল রাসেল:

সারাদেশে চলমান তীব্র লোডশেডিং ও গরমের কারণে সোনারগাঁও উপজেলার ফ্যানের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের সময় গরমে স্বস্তি পেতে চার্জার ফ্যান কিনতে আগ্রহী বেশিরভাগ ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতিটি ফ্যানের। অন্যদিকে দোকানিদের দাবি আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফ্যানের দাম বেড়েছে।
চাহিদা বাড়ায় সোনারগাঁয়ে এসব ফ্যানের সংকট তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেড়েছে আকার ও কোম্পানিভেদে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে দাম শুনে অনেকেই না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন। ভিশন,ওয়ালটন, ক্লিক, সানকা, ডিফেন্ডার, সিঙ্গারসহ নানা ব্র্যান্ডের চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে দোকানে। এছাড়াও ছোট ও টেবিল চার্জার ফ্যান রয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিংয়ের কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এ ফ্যানগুলো চালানো যায়। তাছাড়া ফ্যানের পাশাপাশি চার্জার লাইটও কিনছেন ক্রেতারা। বেশ কয়েকদিন ধরে গরমের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এর ফলে ফ্যানের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়েছে। বর্তমানে যেসব চার্জার ফ্যান ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা গত বছর ছিল ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও চার্জার ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হওয়ায় সোনারগাঁয়ে সংকট তৈরি হয়েছে ভালো মানের চার্জার ফ্যানের।
সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ফ্যান কিনতে আসা প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক মো. ইমাম হোসেন বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় গত তিনদিন আগে চার্জার ফ্যান কিনতে এলে দোকানে কোনো ফ্যান পাইনি। তিনদিন পরে আসতে বললে এখন এসে দেখি প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেশি। প্রতিটি ফ্যানের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধির ফলে,কোন উপায় না পেয়ে ফ্যান কিনতে না পেরে বিভিন্ন দোকানে ঘুরছি। শেষমেশ মনে হয় ফ্যান না কিনেই বাসায় চলে যেতে হবে।

উপজেলার মেঘনা ঘাট থেকে আসা আরেকজন ক্রেতা মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, অনলাইনে ছোট একটি চার্জার ফ্যানের দাম ২২০০ টাকা দেখে দোকানে এসে কিনতে হয়েছে ২৮০০ টাকায়। আমরা সাধারণ মানুষ গরমে স্বস্তি পেতে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে চার্জার ফ্যান কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা থানা রোডের ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স নামের একটি দোকানের ব্যবসায়ী মো.মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে লোডশেডিংয়ের কারণে চাহিদা বাড়ায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের প্রায় ২৫থেকে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে। তাছাড়া এখন আমাদেরকে ঢাকা থেকে চাহিদামত বিক্রির জন্য ফ্যান দিতে পারে না।
উপজেলার মদনপুর মেসার্স সনি ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসায়ী মো.আমিনুল বলেন, যে ফ্যান আগে আমারা ৩ হাজার ৩০০ টাকায় কিনতাম সে ফ্যান কিনতে হয় ৫ হাজার টাকায়, তারপরে পরিবহন ও লেবার খরচ মিলেয়ে ৫ হাজার ৩০০ বা ৪০০ টাকায় সীমিত লাভে বিক্রি করতে হয়। এতে আমাদের তেমন কোনো ব্যবসা থাকে না। ঢাকা থেকে বর্তমানে আমাদের চাহিদামত ফ্যান দিচ্ছে না। এতে করে ফ্যানের সংকট তৈরি হয়েছে।১০ পিস ফ্যানের অর্ডার করলে ৪ পিস পাওয়া যায় আবার ২০ পিস অর্ডার করলে ৬ পিস ফ্যান পাওয়া যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সোনারগাঁয়ে লোডশেডিং ও গরমে চার্জার ফ্যানের সংকট, চড়াদামে বিক্রয়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাজহারুল রাসেল:

সারাদেশে চলমান তীব্র লোডশেডিং ও গরমের কারণে সোনারগাঁও উপজেলার ফ্যানের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে লোডশেডিংয়ের সময় গরমে স্বস্তি পেতে চার্জার ফ্যান কিনতে আগ্রহী বেশিরভাগ ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতিটি ফ্যানের। অন্যদিকে দোকানিদের দাবি আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফ্যানের দাম বেড়েছে।
চাহিদা বাড়ায় সোনারগাঁয়ে এসব ফ্যানের সংকট তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেড়েছে আকার ও কোম্পানিভেদে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে দাম শুনে অনেকেই না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন। ভিশন,ওয়ালটন, ক্লিক, সানকা, ডিফেন্ডার, সিঙ্গারসহ নানা ব্র্যান্ডের চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে দোকানে। এছাড়াও ছোট ও টেবিল চার্জার ফ্যান রয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিংয়ের কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এ ফ্যানগুলো চালানো যায়। তাছাড়া ফ্যানের পাশাপাশি চার্জার লাইটও কিনছেন ক্রেতারা। বেশ কয়েকদিন ধরে গরমের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এর ফলে ফ্যানের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়েছে। বর্তমানে যেসব চার্জার ফ্যান ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তা গত বছর ছিল ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও চার্জার ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হওয়ায় সোনারগাঁয়ে সংকট তৈরি হয়েছে ভালো মানের চার্জার ফ্যানের।
সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ফ্যান কিনতে আসা প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক মো. ইমাম হোসেন বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় গত তিনদিন আগে চার্জার ফ্যান কিনতে এলে দোকানে কোনো ফ্যান পাইনি। তিনদিন পরে আসতে বললে এখন এসে দেখি প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেশি। প্রতিটি ফ্যানের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধির ফলে,কোন উপায় না পেয়ে ফ্যান কিনতে না পেরে বিভিন্ন দোকানে ঘুরছি। শেষমেশ মনে হয় ফ্যান না কিনেই বাসায় চলে যেতে হবে।

উপজেলার মেঘনা ঘাট থেকে আসা আরেকজন ক্রেতা মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, অনলাইনে ছোট একটি চার্জার ফ্যানের দাম ২২০০ টাকা দেখে দোকানে এসে কিনতে হয়েছে ২৮০০ টাকায়। আমরা সাধারণ মানুষ গরমে স্বস্তি পেতে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে চার্জার ফ্যান কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা থানা রোডের ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স নামের একটি দোকানের ব্যবসায়ী মো.মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে লোডশেডিংয়ের কারণে চাহিদা বাড়ায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের প্রায় ২৫থেকে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে। তাছাড়া এখন আমাদেরকে ঢাকা থেকে চাহিদামত বিক্রির জন্য ফ্যান দিতে পারে না।
উপজেলার মদনপুর মেসার্স সনি ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসায়ী মো.আমিনুল বলেন, যে ফ্যান আগে আমারা ৩ হাজার ৩০০ টাকায় কিনতাম সে ফ্যান কিনতে হয় ৫ হাজার টাকায়, তারপরে পরিবহন ও লেবার খরচ মিলেয়ে ৫ হাজার ৩০০ বা ৪০০ টাকায় সীমিত লাভে বিক্রি করতে হয়। এতে আমাদের তেমন কোনো ব্যবসা থাকে না। ঢাকা থেকে বর্তমানে আমাদের চাহিদামত ফ্যান দিচ্ছে না। এতে করে ফ্যানের সংকট তৈরি হয়েছে।১০ পিস ফ্যানের অর্ডার করলে ৪ পিস পাওয়া যায় আবার ২০ পিস অর্ডার করলে ৬ পিস ফ্যান পাওয়া যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন