০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের প্রথম ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / ৫২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ শাহাদাত হোসেন:

পাশাপাশি থাকা দুইটি পুকুরের ওপরে সারি সারি করে সাজানো সোলার প্যানেল। বাতাসের বেগ সামলাতে সক্ষম ফ্লোটারের উপরে ভাবে ভাসছে ১৫০০ সোলার প্যানেল। এর নিচে রয়েছে বিভিন্ন জাতের মাছ। পুকুর পানের উপরে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পানির নিচে মাছ চাষ করা হচ্ছে একই সাথে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালু হয়েছে দেশের প্রথম ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সদর উপজেলার আতাহার বুলনপুর গ্রামের নবাব অটো রাইস মিলের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করে এ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ যাচ্ছে জাতীয় ব্রিডে। নবাব অটো রাইস মিলের নবাব মৎস্য খামার প্রকল্পের পুকুর স্থাপন করা হয়েছে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি চুলস পাওয়ার লিমিটেড।
এ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২.৩ মেগাওয়াট হলেও প্রাথমিকভাবে পিক আওয়ারে গত ৩ দিনের ঘন্টার প্রতি সর্বোচ্চ ১.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে ও কোন প্রকার জমির ব্যবহার না করে এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
অন্যদিকে সোলার প্যানেল পানির উপর ভাসমান অবস্থা থাকায় টিকসই হয় বেশি দিন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে এক বছরে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পরে মাছ চাষের কোন ক্ষতি না করে ব্যাপক হারে বাড়ানো হবে এমন প্রকল্প। প্রতি বিদ্যুৎ ইউনিট ৮ টাকা ১০ পয়সা করে পাওয়াই মিল মালিকের সাশ্রয় হচ্ছে ইউনিটে ২.৫ টাকা করে। পুকুরের অর্ধেক জায়গায় সোলার প্যানেল থাকায় এবং সোলার প্যানেল সরানোর সুযোগ থাকায় মাছের পরিচর্যা নেই কোন সমস্যা।
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১২ বছরের চুলস পাওয়ার লিমিটেডকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন নবাব অটো রাইস মিল। এরপরে ১৫ বছর সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিদ্যুৎ পাবে বহু জাতের প্রতিষ্ঠানটি। আনুষ্ঠানিকভাবে শীঘ্রই এর উদ্বোধন করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

দেশের প্রথম ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ শাহাদাত হোসেন:

পাশাপাশি থাকা দুইটি পুকুরের ওপরে সারি সারি করে সাজানো সোলার প্যানেল। বাতাসের বেগ সামলাতে সক্ষম ফ্লোটারের উপরে ভাবে ভাসছে ১৫০০ সোলার প্যানেল। এর নিচে রয়েছে বিভিন্ন জাতের মাছ। পুকুর পানের উপরে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পানির নিচে মাছ চাষ করা হচ্ছে একই সাথে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালু হয়েছে দেশের প্রথম ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সদর উপজেলার আতাহার বুলনপুর গ্রামের নবাব অটো রাইস মিলের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করে এ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ যাচ্ছে জাতীয় ব্রিডে। নবাব অটো রাইস মিলের নবাব মৎস্য খামার প্রকল্পের পুকুর স্থাপন করা হয়েছে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি চুলস পাওয়ার লিমিটেড।
এ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২.৩ মেগাওয়াট হলেও প্রাথমিকভাবে পিক আওয়ারে গত ৩ দিনের ঘন্টার প্রতি সর্বোচ্চ ১.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে ও কোন প্রকার জমির ব্যবহার না করে এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
অন্যদিকে সোলার প্যানেল পানির উপর ভাসমান অবস্থা থাকায় টিকসই হয় বেশি দিন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে এক বছরে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পরে মাছ চাষের কোন ক্ষতি না করে ব্যাপক হারে বাড়ানো হবে এমন প্রকল্প। প্রতি বিদ্যুৎ ইউনিট ৮ টাকা ১০ পয়সা করে পাওয়াই মিল মালিকের সাশ্রয় হচ্ছে ইউনিটে ২.৫ টাকা করে। পুকুরের অর্ধেক জায়গায় সোলার প্যানেল থাকায় এবং সোলার প্যানেল সরানোর সুযোগ থাকায় মাছের পরিচর্যা নেই কোন সমস্যা।
সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১২ বছরের চুলস পাওয়ার লিমিটেডকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন নবাব অটো রাইস মিল। এরপরে ১৫ বছর সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিদ্যুৎ পাবে বহু জাতের প্রতিষ্ঠানটি। আনুষ্ঠানিকভাবে শীঘ্রই এর উদ্বোধন করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন