মোহাম্মদ আলী,রামগঞ্জ:

রামগঞ্জ ত্রানের ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব আলীপুর বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি বীরেন্দ্র খালের উপর গ্রামীন রাস্তার ১৫ মিটার কালভার্ট। ৭৩ লাখ ১৪ হাজার ৮শত ৮৫ হাজার টাকা গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছর বরাদ্দ হয়েছে।
কাজটি পেয়েছেন মেসার্স এ,কে কনস্ট্রাকশন রায়পুর। প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মো.খায়ের বীরেন্দ্র খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি কাজ শুরুর দুই বছর পার হলেও এখন ব্রিজটি চলাচলের কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি। ব্রিজ করতে ডাইভার্সন (বিকল্প) সড়ক করতে আলাদা বরাদ্দ থাকলেও ঠিকাদার তাহা করেনি। ব্রিজটি শুরু করে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিজটি বাজার এলাকায় ও আলীপুর হাই স্কুলের শিক্ষার্থীর যাতায়াত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ব্রিজ নির্সাণে ড্রাইভার্সন রোর্ড না করায় হাজার হাজার পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বীরেন্দ খালে মাত্র একটি বাঁশ দিয়ে তাহা জনসাধারণের উদ্যোগে কোনমতে আসাযাওয়া করলেও তাহা পানিতে তলিয়ে যায়। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিম্মমানের উপকরণ সহ দায়সারা ব্রিজটি করলেও সংযোগ রাস্তা না থাকায় ব্রিজটি চলাচল কাজে আসছে না। ঠিকাদার ইতিমধ্যে ব্রিজের নিচে একটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ব্রিজের দক্ষিণ বালি উত্তোলন করছেন। বালি উত্তোলন সার্পোট ভেঙ্গে গিয়েছে। ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কাজটি তদারকি না করে মাঝেমধ্যে শ্রমিক দিয়ে ধীরগতিতে কাজ করার কথা বলছেন স্থানীয় জনসাধারণ। জনপ্রতিনিধি,বাজার ব্যবসায়ীসহ ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন নিম্নমানের পাথর, সিমেন্ট, সিলেকসান বালি বিহিন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে ব্রিজটি অসমাপ্ত রেখেছেন। ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় ভুক্তভোগীরা নিজস্ব উদ্যোগে একটি মই নির্মাণ করে কোন মতে চলাচল করছেন।
ঠিকাদার আবুল খায়ের টেলিফোনে বলেছেন ব্রিজটি কি কারণে বিলস্ব হয়েছে তাহা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও অফিসার বলতে পারবেন। কারণ এ কাজের তদারকি তিঁনি করবেন। প্রকৌশলী কাছে আমরা অসহায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার পিআইও দিলিপ দে বলেছেন নির্মাণ সামগ্রী বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার কাজটি করতে বিলস্ব করছেন।সংযোগ রাস্তা দ্রুত করতে ঠিকাদারকে তাগিদ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা সারমিন ইসলাম বলছেন জনসাধারণ কল্যাণে ব্রিজটি করতে সাধারণ মানুষ হয়রানি কোনভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।