মন্দিরের দানবাক্স ভেঙ্গে চুরি
- আপডেট সময় : ০৫:০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
- / ৭০
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদরের গড়মা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত (ভক্তদের কাছে জাগ্রত মন্দির হিসাবে পরিচিত) কালী মন্দিরে দানবাক্স ভেঙ্গে চুরিব ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে সিসিটিভি ফুটেজের সময় অনুযায়ী রাত ৩:৪০ মিনিটে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, মন্দিরের পাশেই তপন সরকারের বাড়ি। তার স্ত্রী শিউলি রাণী সরকার প্রতিদিন ভোরবেলায় মন্দিরে এসে (কালী প্রতিমাকে) প্রণাম করেন। প্রতিদিনের ন্যায় আজও প্রণাম করতে এসে দেখেন, মন্দিরের দানবাক্সগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় আছে। তখন তিনি চিৎকার-চেচামেচি শুরু করেন।
মন্দিরটি বারহাট্টা-কাশবন সড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় মন্দিরের পাশে কয়েকটি দোকানপাট গড়ে উঠেছে। তাই, দোকান মালিকরা খুব ভোরে দোকান খুলতে আসেন। দোকান খুলতে আসলে শিউলি রাণী সবাইকে ডেকে এনে মন্দিরের ভাঙ্গা দানবাক্সগুলো দেখান। পরে মন্দির কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাদক্ষসহ এলাকাবাসীকে খবর দেন।
গড়মা কালীমন্দির কমটির সভাপতি মানবেন্দ্র দত্ত বলেন, এই কালীমন্দিরটি শত বছরের পুরোনো এবং ভক্তবৃন্দের কাছে (জাগ্রত কালীমন্দির হিসাবেই পরিচিত)। প্রতি অমবস্যাতে মন্দিরে পূজা হয় এবং অনেক দুরদুরান্ত থেকে ভক্তরা তাদের মনবাসনা পূর্ণ করতে পূজাতে আসেন। ফলে দানবাক্সতে অনেক প্রণামীর টাকা জমা হয়। এই দানবাক্সে জমানো প্রণামীর টাকা দিয়ে মন্দিরের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। এই মন্দিরে শুধু হিন্দু ভক্তবৃন্দই নয় অনেক মুসলমান ভক্তরাও মনের বিশ্বাসে এ মন্দিরে আসেন। এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান না থাকায় তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে এসেই আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম, বারহাট্টা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল কবির খোকনসহ ঘটনাটি বারহাট্টা থানায় অবহিত করি। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই বারহাট্টা থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের সামনেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। চোরের মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকায় তৎক্ষনাৎ তাকে চিনতে পারা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজের আলামত পুলিশ মোবাইলে রেকর্ড করে নিয়ে গেছেন।
এলাকাবাসী ও ভক্তবৃন্দগণ প্রশাসনের কাছে দাবী জানান, সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য যাচাই করে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। এরকম ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তথ্য যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।