০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে বাদাম বিক্রেতা সালামের মানবেতর জীবন যাপন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • / ৬১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার আক সর্দার পাড়ার তবকপুর গ্রামের ছেলে আবু সালাম (৪১)। পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ধরে দুই সন্তান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে জীবনযাপন করছেন। তার দুই সন্তানের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধী। আবু সালাম একজন ভূমিহীন।
আবু সালামও শারিরীকভাবে অসুস্থ। বেশীরভাগ সময় অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে থাকেন। তার পরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে বাদাম বিক্রি করে চার জনের সংসার চালান তিনি। কিন্তু তার এই বাদামের ব্যবসা বড় করার মত কোন পুঁজি নেই আবু সালামের। একদিন বাদাম ফেরি না করলে পেটে খাবার জোটে না। বাহিরে বের না হলে অসুস্থ মেয়ের ঔষধপত্র সহ নানান খরচ যোগার করতে হিমশিম খেতে হয় তার। কষ্ট হলেও অন্য কারো কাছে হাত পাততে রাজি নন আবু সালাম। তার ইচ্ছে ব্যবসা করেই যেন জীবন চালাতে পারেন তিনি।
সারাদিন পায়ে হেঁটে উলিপুর বাজারের আনাচে-কানাচে বাদাম বিক্রি করে জীবন যাপন করা সালাম বলেন, সারাদিন না খায়া দায়া ডালা ঘারে করি হাটি হাটি ঘুরি। দোকান করা মোর খুব কষ্ট হয়। না করলে ফির বউ ছওয়ার পেটোত ভাত জোটেনা। কষ্ট করি করং। তাই ফির পুঁজি নাই। কারও কাচে কোনদিন হাওলাত নেং। বাদাম বেঁচে শোধ করং। মোক যদি কাঈও ব্যবসা করার কিছু পুঁজি দিলেন হয় দোকান কোনা করি খানুং হয়। একটা ভ্যান হইলে মোর খুব ভালো হইলো হয়। ভ্যানোত করি বুট বাদাম ঝালমুড়ি বেচে বেড়ানু হয়। কামাই করি খাবার পানু হয়। সালাম আরও বলেন, মোক তোমরা ভিডিও করি ছাড়ো তো কাইও যদি সাহায্য করে খুব উপকার হইবে। আবু সালামের বাদাম দোকানের জন্য কিছু পুজি দরকার। একটা ভ্যানগাড়ি দরকার। এ সমাজে অনেক ভাল মানুষ আছেন যারা অসহায় মানুষের আপদে বিপদে অনায়াসে ছুটে আসেন। আসুন সালামের পাশে দাঁড়াই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে বাদাম বিক্রেতা সালামের মানবেতর জীবন যাপন

আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার আক সর্দার পাড়ার তবকপুর গ্রামের ছেলে আবু সালাম (৪১)। পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ধরে দুই সন্তান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে জীবনযাপন করছেন। তার দুই সন্তানের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধী। আবু সালাম একজন ভূমিহীন।
আবু সালামও শারিরীকভাবে অসুস্থ। বেশীরভাগ সময় অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে থাকেন। তার পরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে বাদাম বিক্রি করে চার জনের সংসার চালান তিনি। কিন্তু তার এই বাদামের ব্যবসা বড় করার মত কোন পুঁজি নেই আবু সালামের। একদিন বাদাম ফেরি না করলে পেটে খাবার জোটে না। বাহিরে বের না হলে অসুস্থ মেয়ের ঔষধপত্র সহ নানান খরচ যোগার করতে হিমশিম খেতে হয় তার। কষ্ট হলেও অন্য কারো কাছে হাত পাততে রাজি নন আবু সালাম। তার ইচ্ছে ব্যবসা করেই যেন জীবন চালাতে পারেন তিনি।
সারাদিন পায়ে হেঁটে উলিপুর বাজারের আনাচে-কানাচে বাদাম বিক্রি করে জীবন যাপন করা সালাম বলেন, সারাদিন না খায়া দায়া ডালা ঘারে করি হাটি হাটি ঘুরি। দোকান করা মোর খুব কষ্ট হয়। না করলে ফির বউ ছওয়ার পেটোত ভাত জোটেনা। কষ্ট করি করং। তাই ফির পুঁজি নাই। কারও কাচে কোনদিন হাওলাত নেং। বাদাম বেঁচে শোধ করং। মোক যদি কাঈও ব্যবসা করার কিছু পুঁজি দিলেন হয় দোকান কোনা করি খানুং হয়। একটা ভ্যান হইলে মোর খুব ভালো হইলো হয়। ভ্যানোত করি বুট বাদাম ঝালমুড়ি বেচে বেড়ানু হয়। কামাই করি খাবার পানু হয়। সালাম আরও বলেন, মোক তোমরা ভিডিও করি ছাড়ো তো কাইও যদি সাহায্য করে খুব উপকার হইবে। আবু সালামের বাদাম দোকানের জন্য কিছু পুজি দরকার। একটা ভ্যানগাড়ি দরকার। এ সমাজে অনেক ভাল মানুষ আছেন যারা অসহায় মানুষের আপদে বিপদে অনায়াসে ছুটে আসেন। আসুন সালামের পাশে দাঁড়াই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন