০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

কৃষ্ণচূড়া ফুলের এক টুকরো সর্গরাজ্য রাজশাহী কলেজ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / ৬৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ শাহাদাত হোসেন,রাজশাহী:

নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ায় রাঙা ফুলের মায়ায় জমিয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিদ্যাপীঠ দেশ সেরা রাজশাহী কলেজ। এ যেন এক কৃষ্ণচূড়ার ক্যাম্পাস। গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাস যেন কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে মেতেছে। সূর্যের সবটুকু উত্তাপ যেন কেড়ে নিয়েছে টুকটুকে এই লাল কৃষ্ণচূড়া।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেলেন, গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে, তোমার উত্তরই কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মন চুরি। ফুলের পরিপূরক যে আর কিছুই নেই তা কবি ঠাকুরের ভাষায় তা স্পষ্ট। সবুজ কিচিরমিচির পাতায় ভর্তি গাছে লাল কৃষ্ণচূড়া যেন অপারধিক এক সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়া ফুল কার না প্রিয়। কত গান কত কবিতা এ কৃষ্ণচুরাকে ঘিরে। সবুজ পাতায় ঘেরা এ ফুলের লাল রং সবাইকে মাতোয়ারা করে রাখে।
সরিজমিনে দেখা যায়, কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সামনের গাছে আগুনরাঙা ফুল প্রকৃতির সব রংকে ম্লান করে দিয়েছে। সকালের দিকে পিচ ঢালা কৃষ্ণচূড়া বর্ণ রাস্তা গুলো কৃষ্ণচূড়া ঝড়ে পড়া লাল রক্তের পাপড়ি যেন পুষ্পসজ্জা মনে হয়।
এছাড়া পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কলাভবন ফুলার ভবন ,রবীন্দ্র-নজরুল চত্বর এবং উন্নয়ন ভবনের সামনে রয়েছে রক্তবর্ণ এই ফুলের সমাহার। পুরো ক্যাম্পাস যেন কৃষ্ণচূড়া ফুলের শোভায় শোভা পেয়েছে।
কৃষ্ণচূড়া ফুলের ইংরেজি নাম এবং বৈজ্ঞানিক নাম হল এটি ফেবিসি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। আমাদের দেশের লাল এবং সবুজ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা কালে বর্ণে দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদটি উচ্চতায় ১২ থেকে ১৫ মিটার হলেও শাখা প্রশাখা নিয়ে এই উদ্ভিদটি পুরো অঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালের সময় কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসভ্য।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কৃষ্ণচূড়া ফুলের এক টুকরো সর্গরাজ্য রাজশাহী কলেজ

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ শাহাদাত হোসেন,রাজশাহী:

নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ায় রাঙা ফুলের মায়ায় জমিয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিদ্যাপীঠ দেশ সেরা রাজশাহী কলেজ। এ যেন এক কৃষ্ণচূড়ার ক্যাম্পাস। গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাস যেন কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে মেতেছে। সূর্যের সবটুকু উত্তাপ যেন কেড়ে নিয়েছে টুকটুকে এই লাল কৃষ্ণচূড়া।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেলেন, গন্ধে উদাস হওয়ার মতো উড়ে, তোমার উত্তরই কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মন চুরি। ফুলের পরিপূরক যে আর কিছুই নেই তা কবি ঠাকুরের ভাষায় তা স্পষ্ট। সবুজ কিচিরমিচির পাতায় ভর্তি গাছে লাল কৃষ্ণচূড়া যেন অপারধিক এক সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়া ফুল কার না প্রিয়। কত গান কত কবিতা এ কৃষ্ণচুরাকে ঘিরে। সবুজ পাতায় ঘেরা এ ফুলের লাল রং সবাইকে মাতোয়ারা করে রাখে।
সরিজমিনে দেখা যায়, কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সামনের গাছে আগুনরাঙা ফুল প্রকৃতির সব রংকে ম্লান করে দিয়েছে। সকালের দিকে পিচ ঢালা কৃষ্ণচূড়া বর্ণ রাস্তা গুলো কৃষ্ণচূড়া ঝড়ে পড়া লাল রক্তের পাপড়ি যেন পুষ্পসজ্জা মনে হয়।
এছাড়া পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কলাভবন ফুলার ভবন ,রবীন্দ্র-নজরুল চত্বর এবং উন্নয়ন ভবনের সামনে রয়েছে রক্তবর্ণ এই ফুলের সমাহার। পুরো ক্যাম্পাস যেন কৃষ্ণচূড়া ফুলের শোভায় শোভা পেয়েছে।
কৃষ্ণচূড়া ফুলের ইংরেজি নাম এবং বৈজ্ঞানিক নাম হল এটি ফেবিসি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। আমাদের দেশের লাল এবং সবুজ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা কালে বর্ণে দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদটি উচ্চতায় ১২ থেকে ১৫ মিটার হলেও শাখা প্রশাখা নিয়ে এই উদ্ভিদটি পুরো অঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালের সময় কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসভ্য।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন