মতলব উত্তরে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির ছড়াছড়ি
- আপডেট সময় : ০৯:১৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
- / ৬৪
মমিনুল ইসলাম:
ড্রাগ প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে কয়েক শতাধিক অবৈধ ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসি। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে ওষুধের ব্যবসা। ওইসব ফার্মেসিতে নিম্নমানের ওষুধসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, মতলব উত্তর ছেংগারচর বাজার অবস্থিত কিছু কিছু ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও উপজেলার কালিপুর, সটাকী, মোহনপুর, দশানী, আমিরাবাদ, নতুনবাজার, গজরা, দাশের বাজার, বাগানবাড়ী, নন্দলালপুর, কালির বাজারসহ গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে ফার্মেসি, অধিকাংশ মুদি ও চায়ের দোকানে অহরহ বিক্রি হচ্ছে নানা রকমের ওষুধ।
এছাড়াও সরকার দু’দফা বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ নিষিদ্ধ করলেও গ্রামগঞ্জে ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সে সব নিষিদ্ধ কোম্পানির ওষুধ। সরেজমিন জানা যায়, ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধ বিক্রিতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন পায় দোকানগুলো। কিন্তু ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমিশন দেয়া হচ্ছে। এতে করে বেশি লাভের আশায় ভেজাল নিম্নমানের ওষুধ বিক্রেতা বেশি আগ্রহী হচ্ছে ওষুধ দোকানগুলো। সাধারণ মানুষও কোন ওষুধটি আসল কোনটি ভেজাল তা চিহ্নিত করতে অপারগ। এর ফলে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বাণিজ্য দিনদিন জমজমাট হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। নিজের নামের আগে ডাক্তার লিখে ফার্মেসি খুলে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এন্টিবায়োটিক, নিষিদ্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের নানা ধরনের ওষুধ বিক্রি করে চলছে। দু’একটি ফার্মেসি ছাড়া অধিকাংশ ফার্মেসিতে নেই কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট। ফলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এতে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সম্মুখীন হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেক রোগী। অনেকে ডাক্তার না হয়েও গ্রামের সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবার নামে ব্যবস্থাপত্র লিখে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। ওইসব হাতুড়ে ডাক্তার আবার বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশনের নামে নিচ্ছে মাসোহারা। এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আল এমরান খান জানান, যারা ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।