০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

মতলবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, চলছে মীম জেনারেল হসপিটালের কার্যক্রম

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৫৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সফিকুল ইসলাম রিংকু:

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে মতলব দক্ষিণে নারায়ণপুর মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিবের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব। এসময় তিনি বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। এতে করে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ মে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ্ স্বাক্ষরিত এক আদেশে (স্মারক নং উঃ স্বাঃ কর্ম/মত (দঃ) চাঁদ/২০২৩/৪৯৯) উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ তিনটি হাসপাতালকে ৩দিনের মধ্যে বন্ধ করে লিখিতভাবে প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছেন মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতৃপক্ষ। এমন অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিবের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব। এসময় নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম মাস্টার ও মতলব প্রেসক্লাবে সদস্য সাংবাদিক সমির ভট্রাচার্য্য বলুও উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিব জানান, গত ২১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে মোট তিনটি হাসপাতাল বন্ধ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু আমাদের কাছে অভিযোগ আসে নিয়মবহির্ভুতভাবে এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে নারায়ণপুর বাজারের মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব আমার সাথে খারাপ আচরণ সহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। এসময় আমার সহকর্মী নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম ও মতলব প্রেসক্লাবের সদস্য সমির ভট্রাচার্য্য বলু উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব জানান, লাইসেন্স পেতে সিভিল সার্জন অফিসে দেড় লক্ষ টাকা লাগে তাই এখনো লাইসেন্স পাইনি। লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা সিভিল সার্জন দেখবে। আপনারা গিয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ্ জানান, মীম জেনারেল হসপিটালসহ তিনটি হাসপতালকে আমরা অফিসিয়ালভাবে চিঠি দিয়েছি বন্ধ রাখার জন্য। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, চলছে মীম জেনারেল হসপিটালের কার্যক্রম

আপডেট সময় : ০৯:০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সফিকুল ইসলাম রিংকু:

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে মতলব দক্ষিণে নারায়ণপুর মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিবের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব। এসময় তিনি বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। এতে করে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ মে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ্ স্বাক্ষরিত এক আদেশে (স্মারক নং উঃ স্বাঃ কর্ম/মত (দঃ) চাঁদ/২০২৩/৪৯৯) উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ তিনটি হাসপাতালকে ৩দিনের মধ্যে বন্ধ করে লিখিতভাবে প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছেন মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতৃপক্ষ। এমন অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিবের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব। এসময় নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম মাস্টার ও মতলব প্রেসক্লাবে সদস্য সাংবাদিক সমির ভট্রাচার্য্য বলুও উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিব জানান, গত ২১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে মোট তিনটি হাসপাতাল বন্ধ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু আমাদের কাছে অভিযোগ আসে নিয়মবহির্ভুতভাবে এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে নারায়ণপুর বাজারের মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব আমার সাথে খারাপ আচরণ সহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। এসময় আমার সহকর্মী নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম ও মতলব প্রেসক্লাবের সদস্য সমির ভট্রাচার্য্য বলু উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব জানান, লাইসেন্স পেতে সিভিল সার্জন অফিসে দেড় লক্ষ টাকা লাগে তাই এখনো লাইসেন্স পাইনি। লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা সিভিল সার্জন দেখবে। আপনারা গিয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ্ জানান, মীম জেনারেল হসপিটালসহ তিনটি হাসপতালকে আমরা অফিসিয়ালভাবে চিঠি দিয়েছি বন্ধ রাখার জন্য। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন