০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক বনে গেলেন ঝিকরগাছার আনারুল ইসলাম

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুজন মাহমুদ, যশোর:

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে চাকুরী নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তিন বছরের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু আনারুল ইসলামের সেই অভিজ্ঞতা না থাকলেও শুধুমাত্র ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আনারুল ইসলাম প্রথমে ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নবারুণ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন না করেই (১২ বছরের অভিজ্ঞতা) তথ্য জালিয়াতি করে যশোরের পাঁচ বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে ইস্তফা দিয়ে আবারও নবারুণ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল চৌগাছা উপজেলার উজিরপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় সেখানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেলে অর্থাৎ ৮ কোডে বেতন-ভাতা পাওয়া শুরু করেন। এর মাত্র ২০ মাসের মাথায় গত ১৬ মে ২০২৩ তারিখে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রধান শিক্ষক পদে সেই ব্যক্তি আবেদন করারই যোগ্যতা রাখেননা।
সরকার ঘোষিত এমপিও নীতিমালার শর্তানুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু আনারুল ইসলামের এই অভিজ্ঞতা না থাকলেও তার আবেদন পত্র গৃহীত হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারাও জড়িত বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারণা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনারুল ইসলাম বলেন, আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে। প্রতিবেদকের কাছে থাকা তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সহ এমপিও কপি প্রদর্শন করলে তখন তিনি বলেন আগে দুরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। অনেক পরিশ্রম হতো। এখন কাছে হয়েছে। অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে তিনি বলেন, এরজন্য যদি সরকারি বেতন ভাতা না হয় তবে এখানে বিনা বেতনে চাকরি করবো। (চলবে-(পর্ব ২)


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক বনে গেলেন ঝিকরগাছার আনারুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৮:২১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুজন মাহমুদ, যশোর:

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে চাকুরী নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তিন বছরের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু আনারুল ইসলামের সেই অভিজ্ঞতা না থাকলেও শুধুমাত্র ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আনারুল ইসলাম প্রথমে ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নবারুণ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন না করেই (১২ বছরের অভিজ্ঞতা) তথ্য জালিয়াতি করে যশোরের পাঁচ বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে ইস্তফা দিয়ে আবারও নবারুণ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল চৌগাছা উপজেলার উজিরপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় সেখানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেলে অর্থাৎ ৮ কোডে বেতন-ভাতা পাওয়া শুরু করেন। এর মাত্র ২০ মাসের মাথায় গত ১৬ মে ২০২৩ তারিখে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রধান শিক্ষক পদে সেই ব্যক্তি আবেদন করারই যোগ্যতা রাখেননা।
সরকার ঘোষিত এমপিও নীতিমালার শর্তানুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু আনারুল ইসলামের এই অভিজ্ঞতা না থাকলেও তার আবেদন পত্র গৃহীত হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে এবং সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারাও জড়িত বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারণা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনারুল ইসলাম বলেন, আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে। প্রতিবেদকের কাছে থাকা তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সহ এমপিও কপি প্রদর্শন করলে তখন তিনি বলেন আগে দুরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। অনেক পরিশ্রম হতো। এখন কাছে হয়েছে। অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে তিনি বলেন, এরজন্য যদি সরকারি বেতন ভাতা না হয় তবে এখানে বিনা বেতনে চাকরি করবো। (চলবে-(পর্ব ২)


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন