০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

লালমনিরহাটে পিআইও এর বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৬১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
রোববার (৭ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটি’র সভায় এ নিয়ে বাক-বিতন্ডার ঘটনাও ঘটে। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)’র বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবী করেন।
এর আগে ওই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইও’র বিরুদ্ধে।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম এ উপজেলায় যোগদানের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় না করে নাম মাত্র ত্রাণ বিতরণ করে বাকি সব নিজেই আত্নসাত করেন। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে বিল উত্তোলনও করেন পিআইও মাইদুল ইসলাম। এ ছাড়া টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প গুলোতে ২০% কমিশন শর্তে বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন এ পিআইও এমন অভিযোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের।
ওই অভিযোগে আরো দাবী করা হয়, পিআইও মাইদুল ইসলামের কারণে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের পাল্টা-পাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি’র সভাপতি, সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু ও ওই সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক, গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। কমিশন ছাড়া তিনি কোনো বিলে স্বাক্ষর করেন না। আমরা এ পিআইও’র বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তার তদন্তে যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আমি দোষ মাথা পেতে নিবো। এর বাহিরে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমন্বয় কমিটির সভায় কথা বলেছেন।তদন্ত করে বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লালমনিরহাটে পিআইও এর বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:১৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
রোববার (৭ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটি’র সভায় এ নিয়ে বাক-বিতন্ডার ঘটনাও ঘটে। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)’র বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবী করেন।
এর আগে ওই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইও’র বিরুদ্ধে।
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম এ উপজেলায় যোগদানের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় না করে নাম মাত্র ত্রাণ বিতরণ করে বাকি সব নিজেই আত্নসাত করেন। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে বিল উত্তোলনও করেন পিআইও মাইদুল ইসলাম। এ ছাড়া টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প গুলোতে ২০% কমিশন শর্তে বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন এ পিআইও এমন অভিযোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের।
ওই অভিযোগে আরো দাবী করা হয়, পিআইও মাইদুল ইসলামের কারণে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের পাল্টা-পাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি’র সভাপতি, সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু ও ওই সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক, গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। কমিশন ছাড়া তিনি কোনো বিলে স্বাক্ষর করেন না। আমরা এ পিআইও’র বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তার তদন্তে যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আমি দোষ মাথা পেতে নিবো। এর বাহিরে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমন্বয় কমিটির সভায় কথা বলেছেন।তদন্ত করে বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন