০২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

নেত্রকোনায় সরকারী খালের পাড় কেটে পুকুর খনন করেছে প্রভাবশালীরা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ৫৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাছ ধরতে খালের পাড় কেটে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে শেওরাতলী গ্রামের প্রভাবশালী নুর নবী, মতিউর রহমান মেলেছ ও পলাশের বিরুদ্ধে। উপজেলার মাঘান-শিয়াধার ইউনিয়নের শেওরাতলী গ্রামের সামনে ডিঙ্গাপোতা হাওরে থাকা লাইটার ধাইর নামক খালের পাড় কেটে কয়েকটি অংশে খনন করা হয়েছে পুকুর।
আজ (৮ মে) সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত ২০২২ সালে খনন করা এ খালটির প্রায় এক কিলোমিটার পাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাড়ের কয়েকটি অংশ কেটে দিয়ে খনন করা হয়েছে পুকুর। ফলে ছোট যানবাহন চলার মতো প্রশস্ত খাল পাড় হয়ে গেছে সরু আইল।
এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে শেওরাতলী গ্রামের আব্দুল ছালামসহ বেশ কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। খননকৃত খালের পাড় কেটে সমস্যার সৃষ্টি করায় শেওরাতলী গ্রামের নুর নবী, মতিউর রহমান মেলেছ ও পলাশকে দায়ী করা হয়েছে।
আব্দুল ছালাম অভিযোগে বলেন, ডিঙ্গাপুতা হাওরের কয়েকটি গ্রামের কৃষক ধান কেটে খালের পাড়ে রাখতো। পরে কেউ নৌকায় করে, কেউ আবার ঠেলা গাড়িতে করে সেই ধান মূল সড়কে নিতে পারত। চওড়া খালের পাড় মাছের লোভে ভ্যাকু দিয়ে কেটে দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী নুরনবীসহ কয়েকজন। কেটে তারা তাদের জমি বৃদ্ধি করেছেন। এখন খাল পাড়টি সরু আইলের মতো হয়ে গেছে। এতে করে খালের পাড়ে আর ধান কেটে রাখা যাবে না। রাস্তা এত সরু হয়েছে যে, চলাচল করাও সম্ভব নয়। গত বছর খনন করা এ খালটির বিশাল ক্ষতি তারা করেছেন। কয়েক গ্রামের কৃষক এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের খননের সুফল পাচ্ছে না ওই এলাকার কৃষকরা। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত নুরনবী ও মতিউর রহমান মেলেছ বলেন, আমরা এই খালের পাড় কাটিনি। প্রতিহিংসামূলক আমাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে প্রশাসনের লোকজন পরিদর্শনে গেছেন। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নেত্রকোনায় সরকারী খালের পাড় কেটে পুকুর খনন করেছে প্রভাবশালীরা

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাছ ধরতে খালের পাড় কেটে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে শেওরাতলী গ্রামের প্রভাবশালী নুর নবী, মতিউর রহমান মেলেছ ও পলাশের বিরুদ্ধে। উপজেলার মাঘান-শিয়াধার ইউনিয়নের শেওরাতলী গ্রামের সামনে ডিঙ্গাপোতা হাওরে থাকা লাইটার ধাইর নামক খালের পাড় কেটে কয়েকটি অংশে খনন করা হয়েছে পুকুর।
আজ (৮ মে) সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত ২০২২ সালে খনন করা এ খালটির প্রায় এক কিলোমিটার পাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাড়ের কয়েকটি অংশ কেটে দিয়ে খনন করা হয়েছে পুকুর। ফলে ছোট যানবাহন চলার মতো প্রশস্ত খাল পাড় হয়ে গেছে সরু আইল।
এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে শেওরাতলী গ্রামের আব্দুল ছালামসহ বেশ কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। খননকৃত খালের পাড় কেটে সমস্যার সৃষ্টি করায় শেওরাতলী গ্রামের নুর নবী, মতিউর রহমান মেলেছ ও পলাশকে দায়ী করা হয়েছে।
আব্দুল ছালাম অভিযোগে বলেন, ডিঙ্গাপুতা হাওরের কয়েকটি গ্রামের কৃষক ধান কেটে খালের পাড়ে রাখতো। পরে কেউ নৌকায় করে, কেউ আবার ঠেলা গাড়িতে করে সেই ধান মূল সড়কে নিতে পারত। চওড়া খালের পাড় মাছের লোভে ভ্যাকু দিয়ে কেটে দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী নুরনবীসহ কয়েকজন। কেটে তারা তাদের জমি বৃদ্ধি করেছেন। এখন খাল পাড়টি সরু আইলের মতো হয়ে গেছে। এতে করে খালের পাড়ে আর ধান কেটে রাখা যাবে না। রাস্তা এত সরু হয়েছে যে, চলাচল করাও সম্ভব নয়। গত বছর খনন করা এ খালটির বিশাল ক্ষতি তারা করেছেন। কয়েক গ্রামের কৃষক এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের খননের সুফল পাচ্ছে না ওই এলাকার কৃষকরা। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত নুরনবী ও মতিউর রহমান মেলেছ বলেন, আমরা এই খালের পাড় কাটিনি। প্রতিহিংসামূলক আমাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে প্রশাসনের লোকজন পরিদর্শনে গেছেন। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন