০৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের খবর দশের খবর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

                                                     কবি ও সাহিত্যিকঃ রৌনকা আফরুজ সরকার

আজকাল খুব বেশি শুনা যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর এর পর থেকে রাষ্ট্র নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায় চলবে না। জানি না কি ঘটবে? আমজনতা সব পারে। বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করতে জানে আবার স্বাধীনতার মহানায়ককে হত্যা করতেও জানে। আইন করে হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করতে জানে আবার কালোআইন বাতিল করে হত্যাকান্ডের বিচার করতে ও বাঙ্গালিরা জানে। বাংলায় সুর, অসুর দুটোই পাওয়া যায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে মাঝে মাঝে অসুরেরা গোল দেয় আবার মাঝে মাঝে সুরেরা গোল দেয়। ১০ ডিসেম্বর বা এর পর রাজনৈতিক মাঠে যে খেলা হবে জানিনা গোল কারা দিবে। সুরেরা জিতবে না অসুরেরা জিতবে এ নিয়ে আমজনতার মনে টান টান উত্তেজনা। যদি ১০ ডিসেম্বর বা এর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হটিয়ে কোন একটি মহল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে জনতার একাংশ তাদেরকে বাঘের বাচ্চা বলবে। আর যদি তা না পারে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায়ই দেশ চলে তাহলে যারা বলছে। জনগণের হাঁড়িতে এমনি কানাঘুষা চলছে। অসম্ভব কিছু না কারন বাংলায় সুর অসুর দুটোই সহজলভ্য এবং সংখ্যায়ও কম নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার পরিবর্তনের দরকার নেই বলেই মনে হয়। বৃটেন বার বার সরকার পরিবর্তন করেও অথনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা। যদিও নেতার পরিবর্তনের চেয়ে নীতির পরিবর্তন দরকার তবুও এই মুহূর্তে নানা শর্তের গর্তে পরে সরকারের পক্ষে নীতির পরিবর্তন ঘটানো কঠিন হবে।
পরিবেশের বিপর্যয় ও যুদ্ধময় বিশ্বের বিষের প্রভাবে সারা বিশ্বেই এখন জনগণ অভাবে। কতিপয় মহল ঢালাওভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করছেন। ভেবে দেখছেন না কাজটি কতটা ঠিক? বিশ্বের অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রেই চলছে অর্থনৈতিক সংকট। ঐ রাষ্ট্রগুলো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চালাচ্ছেন না। কতিপয় মহল জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। বুঝেও বুঝেন না সংকটের জন্য যুদ্ধময় বিশ্বের বিষ দায়ী। রাষ্ট্রের সংকটকালীন সময়ে দল,মত নির্বিশেষে সকলকে সহযোগিতা করা উচিত। সংকট চিরস্থায়ী নয়। সরকারকে সমস্যা থেকে জনগণকে বের করার জন্য একটু সময় দেওয়া উচিত। সরকার ব্যর্থ হলে জনগণতো নির্বাচনে জবাব দিবেই। দেশের উন্নয়নমূলক সফল কাজগুলো সবাই মিলে ইনজয় করছি। যেমনঃ পদ্মা সেতু। সুনামের ভাগ সবাই চায়। রাষ্ট্র একটু সংকটে পড়েছে সব দায় আজ একজনের ঘাড়ে চাপাতে কতিপয় মহল। বাংলা সিনেমায় একটা গান আছে”আমার লাখ টাকার বাগান খাইলো দুই টাকার ছাগলে। গানটি আমি লিখিনি তবে ছাগলে আমার বাবার লাখ টাকার বাগান দুইবার খেয়ে সাবার করে দিয়েছিলো। কথা হচ্ছে ছাগল প্রকল্পের ছাগলগুলো রাষ্ট্রের রিজার্ভ উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখছে জানেনা সাধারন জনতা। ছাগলগুলো যদি লাখ টাকার বাগান খাওয়া ছেড়ে ম্যাজিক করে রাষ্ট্রের সব সমস্যা সমাধান করতে পারে সমর্থন করতে বাঁধা নেই। যদিও ফসলের মাঠে কৃষকেরা বলে ছাগল দিয়ে হালচাষ হয়না। আমরা কিছু বলতে চাইনা দেখতে চাই ছাগল হালচাষ কেমন করে?


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

দেশের খবর দশের খবর

আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

                                                     কবি ও সাহিত্যিকঃ রৌনকা আফরুজ সরকার

আজকাল খুব বেশি শুনা যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর এর পর থেকে রাষ্ট্র নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায় চলবে না। জানি না কি ঘটবে? আমজনতা সব পারে। বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করতে জানে আবার স্বাধীনতার মহানায়ককে হত্যা করতেও জানে। আইন করে হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করতে জানে আবার কালোআইন বাতিল করে হত্যাকান্ডের বিচার করতে ও বাঙ্গালিরা জানে। বাংলায় সুর, অসুর দুটোই পাওয়া যায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে মাঝে মাঝে অসুরেরা গোল দেয় আবার মাঝে মাঝে সুরেরা গোল দেয়। ১০ ডিসেম্বর বা এর পর রাজনৈতিক মাঠে যে খেলা হবে জানিনা গোল কারা দিবে। সুরেরা জিতবে না অসুরেরা জিতবে এ নিয়ে আমজনতার মনে টান টান উত্তেজনা। যদি ১০ ডিসেম্বর বা এর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হটিয়ে কোন একটি মহল রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে জনতার একাংশ তাদেরকে বাঘের বাচ্চা বলবে। আর যদি তা না পারে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায়ই দেশ চলে তাহলে যারা বলছে। জনগণের হাঁড়িতে এমনি কানাঘুষা চলছে। অসম্ভব কিছু না কারন বাংলায় সুর অসুর দুটোই সহজলভ্য এবং সংখ্যায়ও কম নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার পরিবর্তনের দরকার নেই বলেই মনে হয়। বৃটেন বার বার সরকার পরিবর্তন করেও অথনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা। যদিও নেতার পরিবর্তনের চেয়ে নীতির পরিবর্তন দরকার তবুও এই মুহূর্তে নানা শর্তের গর্তে পরে সরকারের পক্ষে নীতির পরিবর্তন ঘটানো কঠিন হবে।
পরিবেশের বিপর্যয় ও যুদ্ধময় বিশ্বের বিষের প্রভাবে সারা বিশ্বেই এখন জনগণ অভাবে। কতিপয় মহল ঢালাওভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করছেন। ভেবে দেখছেন না কাজটি কতটা ঠিক? বিশ্বের অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রেই চলছে অর্থনৈতিক সংকট। ঐ রাষ্ট্রগুলো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চালাচ্ছেন না। কতিপয় মহল জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। বুঝেও বুঝেন না সংকটের জন্য যুদ্ধময় বিশ্বের বিষ দায়ী। রাষ্ট্রের সংকটকালীন সময়ে দল,মত নির্বিশেষে সকলকে সহযোগিতা করা উচিত। সংকট চিরস্থায়ী নয়। সরকারকে সমস্যা থেকে জনগণকে বের করার জন্য একটু সময় দেওয়া উচিত। সরকার ব্যর্থ হলে জনগণতো নির্বাচনে জবাব দিবেই। দেশের উন্নয়নমূলক সফল কাজগুলো সবাই মিলে ইনজয় করছি। যেমনঃ পদ্মা সেতু। সুনামের ভাগ সবাই চায়। রাষ্ট্র একটু সংকটে পড়েছে সব দায় আজ একজনের ঘাড়ে চাপাতে কতিপয় মহল। বাংলা সিনেমায় একটা গান আছে”আমার লাখ টাকার বাগান খাইলো দুই টাকার ছাগলে। গানটি আমি লিখিনি তবে ছাগলে আমার বাবার লাখ টাকার বাগান দুইবার খেয়ে সাবার করে দিয়েছিলো। কথা হচ্ছে ছাগল প্রকল্পের ছাগলগুলো রাষ্ট্রের রিজার্ভ উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখছে জানেনা সাধারন জনতা। ছাগলগুলো যদি লাখ টাকার বাগান খাওয়া ছেড়ে ম্যাজিক করে রাষ্ট্রের সব সমস্যা সমাধান করতে পারে সমর্থন করতে বাঁধা নেই। যদিও ফসলের মাঠে কৃষকেরা বলে ছাগল দিয়ে হালচাষ হয়না। আমরা কিছু বলতে চাইনা দেখতে চাই ছাগল হালচাষ কেমন করে?


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন