০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

মা মেয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে খাল থেকে নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ১৫ দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহতরা মা ও মেয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় স্বামী জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
পারিবারিক কলহের জেরে তিনি স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে (৩০) গলা টিপে ও ঘুমন্ত শিশু নুসরাতকে (১) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন।
শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
গ্রেফতার জামাল চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরীগ্রামের রুহুল আমিন মিঝির ছেলে। ভিকটিম রওশন আরা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার আজোলবেড়া গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে।
জামালের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকে জামাল ও রওশনের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত ১৫ এপ্রিল দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী রওশনকে গলা টিপে হত্যা করেন জামাল। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে বাসার মালামালসহ দুজনের মরদেহ ওয়্যারড্রবে করে পিকআপে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা দেন জামাল। নোয়াখালী না গিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের দুটি পৃথক স্থানে ব্রিজের নিচে মরদেহ দুটি ফেলে দেন। ১৯ এপ্রিল রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের পাশে খালের হানুবাইশ ব্রিজের নিচে শিশু ও পার্শ্ববর্তী আলীপুর এসপি বাড়ির সামনের ব্রিজের নিচ থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে রামগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডটি জামাল একাই করেছেন বলে জানিয়েছেন।

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, মরদেহগুলো উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে মা ও মেয়ে হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুরের মধুখালী থানায় এক নারী ও এক শিশুর নিখোঁজ ডায়েরি রয়েছে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। একইসঙ্গে প্রাথমিকভাবে নিহত রওশনের স্বামীকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। পরে গোয়েন্দা তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার শ্যামপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) জামালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মা মেয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৯:৩২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে খাল থেকে নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ১৫ দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহতরা মা ও মেয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় স্বামী জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
পারিবারিক কলহের জেরে তিনি স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে (৩০) গলা টিপে ও ঘুমন্ত শিশু নুসরাতকে (১) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন।
শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
গ্রেফতার জামাল চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরীগ্রামের রুহুল আমিন মিঝির ছেলে। ভিকটিম রওশন আরা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার আজোলবেড়া গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে।
জামালের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, ২০১৯ সালে বিয়ের পর থেকে জামাল ও রওশনের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত ১৫ এপ্রিল দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী রওশনকে গলা টিপে হত্যা করেন জামাল। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে বাসার মালামালসহ দুজনের মরদেহ ওয়্যারড্রবে করে পিকআপে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা দেন জামাল। নোয়াখালী না গিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের দুটি পৃথক স্থানে ব্রিজের নিচে মরদেহ দুটি ফেলে দেন। ১৯ এপ্রিল রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের পাশে খালের হানুবাইশ ব্রিজের নিচে শিশু ও পার্শ্ববর্তী আলীপুর এসপি বাড়ির সামনের ব্রিজের নিচ থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে রামগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডটি জামাল একাই করেছেন বলে জানিয়েছেন।

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, মরদেহগুলো উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে মা ও মেয়ে হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুরের মধুখালী থানায় এক নারী ও এক শিশুর নিখোঁজ ডায়েরি রয়েছে। পরে নিহতের স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। একইসঙ্গে প্রাথমিকভাবে নিহত রওশনের স্বামীকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। পরে গোয়েন্দা তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার শ্যামপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) জামালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন