রাজধানী কিংবা গ্রাম কোন তফাত নেই,সব জায়গায় দাপিয়ে পড়েছে নিষিদ্ধ পলিথিনব্যাগ
- আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
- / ৬৮
ফাতেমা আক্তার মাহমুদ ইভা:
নিষিদ্ধ পলিথিনব্যাগ আরো ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে কেনাকাটা সেরে দেখা যায় মানুষের হাতে রাজধানী কিংবা গ্রাম কোন তফাত নেই,সবজায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পলিথিন,ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নেই কোন সচেতনা।
বুধবার, ৩মে দুপুরে সাক্ষাৎকারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবেশের ক্ষতি সমন্ধে তুলে ধরনের, পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয় উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন যে, ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এব ৯২৫ কেজি অর্ধেক পলিথিন জব্দ করা হয়, ২টি অবৈধ পলিথিন কারখানা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১.৫ টন পলিথিন জব্দ পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টীম কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা ও সোনারগাও উপজেলার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
উক্ত অভিযানে ফতুল্লা এলাকার মেসার্স শিকদার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জোবায়েদ আহম্মেদ এর মালিকানাধীন কারখানায় অবৈধ পলিথিন উৎপদনের জন্য বিশ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়, এছাড়া সোনারগাও উপজেলার রহিম স্ট্রিল মিল সংলগ্ন আবু সাইদ এর মালিকানাধীন কারখানায় অবৈধ পলিথিন ধার্য্য পূর্বক আদায় ও উৎপাদিত ৫৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। দুইটি কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহন ব্যতিত অবৈধ ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল। কারখানা অব্যহত দূষন স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার অংশ হিসাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কারখানা সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যাল হতে প্রস্তাব জেলা কার্যালয় হতে প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে মহা পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর কারখানা সেবা দূষনকারী সকল কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। একটু সচেতন হলেই কমানো যায় পলিথিনের ব্যবহার। একই সঙ্গে বেঁচে যায় আমাদের পরিবেশ ও শত শত মানুষ। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে বাংলাদেশে ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর পরিপ্রেক্ষিতে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার, উৎপাদন, বিপণন ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়। আইনের ২৫ ধারায় বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি নিষিদ্ধ পলিথিনসামগ্রী উৎপাদন করে, তা হলে ১০ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা,এমনকি উভয় দন্ড দন্ডিত হতে পারে। এর পাশাপাশি পলিথিন বাজারজাত করলে ৬ মাসের জেলসহ ১০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারগুলোয় প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যবহার করা হলেও এ আইনের কোনো প্রয়োগ নেই। পলিথিন বর্তমানে অপরিহার্য উপাদান। প্রায় সব জায়গায় পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। পলিথিনে খাবার গ্রহণের ফলে মানবশরীরে বাসা বাঁধছে ক্যানসারের মতো মরণঘাতী রোগের। বর্তমানে ছোট-বড় সব ধরনের হোটেল বা রেস্তোরাঁয় দেখা যায় পলিথিন ব্যাগ। কারখানা সমূহে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতীত এবং দূষন নিয়ন্ত্রণে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন ব্যতীত কারখানর উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। ইতিপূর্বে কারখানর সমূহ কে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখা হতে ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আরোপ এব ইটিপি স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হলে উক্ত নির্দেশনা না মেনেব কারখানা কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে পরিবেশ দূষন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার অশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয় হতে প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রস্তাব অনুমোদন প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ দূষণকারী সকল কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।