১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

লালমনিরহাটে মাদকের প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধার উপরে হামলা আহত ৪

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতাঃ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মাদকের প্রতিবাদ করায় মাদকসেবী ব্যবসায়ীদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে ৪ জন। শনিবার(১২ নভেম্বর) দিনগত রাতে বিচার চেয়ে হামলাকারী ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়(৭১)। আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায় উপজেলার সারপুকুর এলাকার মৃত নগেন সতিশ বর্মনের ছেলে। তিনি সারপুকুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতিও বটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সারপুকুর গ্রামের রাধাকৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন বিজয় কুমার রায়ের পান বিড়ির দোকান। এ দোকানে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মাদকসেবীদের উৎপাত। মাদকসেবীরা মন্দিরের উঠানে বসে মাদক সেবন করে মাতলামো করে। মন্দির কমিটি বিষয়টি একাধিকবার নিষেধ করেও কোন সুরহা হয়নি। বরংচ উল্টো উৎপাত বেড়ে যায় তাদের উপর।
গত শুক্রবার(১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে ওই এলাকার শাহেন শাহ সরকার সাজু, নারায়ন চন্দ্রসহ কয়েকজন মাদকসেবী মন্দিরের উঠানে মাদকসেবন করে মাতলামো করছিল। বিষয়টি জানতে পেয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধার সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায় তাদেরকে স্থান ত্যাগ করতে বললে বিতর্কের সৃষ্ঠি হয়। এক পর্যয়ে মাদকসেবীরা বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট করে। তার আত্নচিৎকারে তার ভাই, ভাজিজারা এগিয়ে এলে মাদকসেবীরা দেশি অস্ত্রে হামলা চালায়। এতে বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়, তার ভাই নিশি লাল রায় (৬০), ভাতিজা জগদীস চন্দ্র (৫৫) ও প্রদীপ চন্দ্র (২৬) রক্তাক্ত আহত হন।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে আশংকাজনক অবস্থায় নিশি, জগদীস ও প্রদীপকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। তবে বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়কে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়।বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায় বলেন, দোকানটিতে মাদক রেখে বিক্রি করা হয়। সেবীরা মন্দিরের উঠানে মাদকসেবন করে মাতলামো করে আসছে। এটা নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করেও কোন কাজ হয়নি। তাদেরকে মন্দির মাঠ থেকে সড়ে যেতে বলায় মাতালরা আমাকেসহ ভাই ভাতিজাদেরকে দেশি অস্ত্র হামলা করেছে। মাদকসেবীর হাতে আহত হতে মুক্তিযুদ্ধ করি নি। বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ন্যায় বিচার চাই।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদকের প্রতিবাদ করায় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লালমনিরহাটে মাদকের প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধার উপরে হামলা আহত ৪

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতাঃ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মাদকের প্রতিবাদ করায় মাদকসেবী ব্যবসায়ীদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে ৪ জন। শনিবার(১২ নভেম্বর) দিনগত রাতে বিচার চেয়ে হামলাকারী ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়(৭১)। আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায় উপজেলার সারপুকুর এলাকার মৃত নগেন সতিশ বর্মনের ছেলে। তিনি সারপুকুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতিও বটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সারপুকুর গ্রামের রাধাকৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন বিজয় কুমার রায়ের পান বিড়ির দোকান। এ দোকানে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মাদকসেবীদের উৎপাত। মাদকসেবীরা মন্দিরের উঠানে বসে মাদক সেবন করে মাতলামো করে। মন্দির কমিটি বিষয়টি একাধিকবার নিষেধ করেও কোন সুরহা হয়নি। বরংচ উল্টো উৎপাত বেড়ে যায় তাদের উপর।
গত শুক্রবার(১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে ওই এলাকার শাহেন শাহ সরকার সাজু, নারায়ন চন্দ্রসহ কয়েকজন মাদকসেবী মন্দিরের উঠানে মাদকসেবন করে মাতলামো করছিল। বিষয়টি জানতে পেয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধার সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায় তাদেরকে স্থান ত্যাগ করতে বললে বিতর্কের সৃষ্ঠি হয়। এক পর্যয়ে মাদকসেবীরা বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট করে। তার আত্নচিৎকারে তার ভাই, ভাজিজারা এগিয়ে এলে মাদকসেবীরা দেশি অস্ত্রে হামলা চালায়। এতে বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়, তার ভাই নিশি লাল রায় (৬০), ভাতিজা জগদীস চন্দ্র (৫৫) ও প্রদীপ চন্দ্র (২৬) রক্তাক্ত আহত হন।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে আশংকাজনক অবস্থায় নিশি, জগদীস ও প্রদীপকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। তবে বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়কে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের ৬ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায়।বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্রনাথ লাল রায় বলেন, দোকানটিতে মাদক রেখে বিক্রি করা হয়। সেবীরা মন্দিরের উঠানে মাদকসেবন করে মাতলামো করে আসছে। এটা নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করেও কোন কাজ হয়নি। তাদেরকে মন্দির মাঠ থেকে সড়ে যেতে বলায় মাতালরা আমাকেসহ ভাই ভাতিজাদেরকে দেশি অস্ত্র হামলা করেছে। মাদকসেবীর হাতে আহত হতে মুক্তিযুদ্ধ করি নি। বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ন্যায় বিচার চাই।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদকের প্রতিবাদ করায় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন