থানায় জিডি করার অপরাধে হামলা,আহত-৩
- আপডেট সময় : ১০:৩১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ৫৩
রামগঞ্জ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ওয়াকফ জমির বিরোধ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করার ৪দিন পর ব্যবসায়ী সহোদরসহ ৩ জনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আহতরা হলেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শাহাদাত পাটওয়ারী, তাঁর ভাই জাকির হোসেন দুলাল ও তাদের বৃদ্ধ চাচা মফিজুল ইসলাম পাটওয়ারী। আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া হামলায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত শাহাদাৎ পাটোয়ারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভূক্তভোগী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের শাহাদাত পাটওয়ারী পাশের নাগমুদ গ্রামে একটি ওয়াকফ্ জমির মোতয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দুপুরে শাহাদাত পাটওয়ারীরা ওই জমিতে যান। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই নাগমুদ গ্রামের খোরশেদ আলম রাজু, বাবুল ও সিরাজ দলবল নিয়ে শাহাদাতদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ৩ জনকে আহত করে।
আহতদের পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কয়েকবার হুমকি ধমকি ও আমাদের উপর হামলা করা হলে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে মাননীয় আদালত মামলার কয়েকজন বিবাদীকে বিজ্ঞ আইনজীবির মধ্যস্থতায় ২হাজার টাকার মুচলেকা বন্ডে জামিন প্রদান করেন। দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে সব কিছু ঠিকমতো চললেও গত কয়েকদিন থেকে আমাদের বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধমকি অব্যাহত রাখে হামলাকারীরা। বাধ্য হয়ে আমরা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চলতি মাসের ২৫ এপ্রিল রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নম্বর ১১৯৭। থানায় সাধারণ ডায়েরী করার অপরাধে হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। আজকে তারা লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীগণ পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ সিরাজ, ইকবাল হোসেন ও মো. আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
আহত শাহাদাত পাটওয়ারী বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় খামখেয়ালিভাবে মানুষের জমি দখল করে আসছে। তাঁরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে অন্যায়ভাবে তাঁরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজ দাবি করেন, তাঁরা জমিটির মালিক। ঘটনাস্থলে শাহাদাতদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। এতে তাঁরাও আহত হন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুইপক্ষকে শান্ত করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।