বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের চিতলমারীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে ঢাল-সড়কি নিয়ে মহড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরাজমান উত্তেজনা সমাধান করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে চিতলমারী উপজেলার বড়গুনি গ্রামে আওয়ামী লীগ কার্যালয় দুই গ্রামের জনসাধারনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এসময় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুজ্জামান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য টিটো সরদার, বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জান্নাত আলী, চেয়ারম্যান মাসুদ সরদার ও সাবেক চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান পান্না,বড়বাড়িয়া ক্যাম্পের টু-আইসি জিয়া ও ইরফান সহ দুই গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। তবে মহড়ার সময় প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা দেশি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি এলাকাবাসির।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে চিতলমারী উপজেলার বড়গুনি গ্রামের শওকাত আলী মোল্লার ছেলে লাভলু মোল্লাকে পাশ্ববর্তি ঘোলা গ্রামের শেখ কায়েম আলী শেখের ছেলে সাজিদ আহম্মেদ শাহিন মারধর করে। ওইদিন রাতে ঘোলা গ্রামের দুই ব্যবসায়ী সোহেল শেখ ও সৈয়দ জান্নাত আলী বড়গুনি গ্রামে গিয়ে শাহিনের পক্ষে মাফ চান। এটা বড়গুনি গ্রামবাসিদের মনপূতঃ না হওয়ায় রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে বড়গুনির লোকজন বৈঠকে বসেন। এদিন রাত ৯ টার দিকে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ইন্ধনে বড়গুনি গ্রামের বিভিন্ন মসজিদ থেকে (বড়গুনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, এরশাদ মুন্সির মোড় জামে মসজিদ, বড়গুনি বাজার জামে মসজিদ, বড়গুনি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ, বড়গুনি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ এবং বড়গুনি মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ভ্যানে মাইকে প্রচার) মাইকিং করা হয়। মাইকে বলা হয়, ‘বড়গুনি গ্রামের ছোট-বড় সবাই প্রস্তুত থাকবেন। আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) সকালে ঘোলা গ্রামবাসিদের সাথে সংঘর্ষ হবে। সবাই লাঠিসোটা নিয়ে রেডি থাকবেন।’ এ প্রচারে দুই গ্রামের সাধারন মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা নির্ঘুম রাত কাটায়। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার লোক লাঠিসোটা, বল্লম, সড়কি, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বড়গুনি ব্রীজের উপর জড়ো হয়। অপরদিকে আত্মরক্ষার্থে ঘোলা গ্রামের লোকজন জড়ো হতে থাকে।
এ খবর পেয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান সংগীয় ফোর্স নিয়ে বড়গুনি গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষ ঠেকান। তবে বরাবরই ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ সরদার তার নির্দেশে মাইকিং এর বিষয়টা অস্বীকার করে আসছিলেন।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না