০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে ক্ষীপ্ত আর ঘৃণার বসত মাকে হত্যা,ছেলে আটক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাজিম উদ্দিন রানা:

মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ড সহ্য করতে না পেরে ছেলে সাইফুল ইসলাম রকি তার মাকে হত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ প্রেস কনফারেন্সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রকিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে এ স্বীকারোক্তি দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মজুপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানায়, নিহত মমতাজ বেগম (৫০) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। মারা যাওয়ার পর থেকেই তার দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন তিনি। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে বড় ছেলে বাপ্পি সড়ক বিভাগে মাস্টার রুলে কাজ করছেন। সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টার থাকাকালিন রকির মা উশৃংখল চলাফেরা করতো। বিষয়টি রকির নজরে আসলে তার মাকে এবিষয়ে বিরত থাকতে বলে। কিন্তু মমতাজ বেগম রকির কথায় কর্নপাত না করে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়াতো। এতে রকির বিষয়গুলো সহ্য হতো না। তাই মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ড সহ্য করতে না পেরে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সে আলোকে ঘটনার সময় ধারালো চুরি দিয়ে তার মাকে হত্যা করে। পরবর্তীতে মরদেহ থেকে হাত-পা খন্ডিত করে। এরআগে মমতাজের মেয়ে রোজি আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর মডলে থানায় মামলা দায়ের করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লক্ষ্মীপুরে ক্ষীপ্ত আর ঘৃণার বসত মাকে হত্যা,ছেলে আটক

আপডেট সময় : ১১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাজিম উদ্দিন রানা:

মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ড সহ্য করতে না পেরে ছেলে সাইফুল ইসলাম রকি তার মাকে হত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ প্রেস কনফারেন্সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রকিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে এ স্বীকারোক্তি দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মজুপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানায়, নিহত মমতাজ বেগম (৫০) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। মারা যাওয়ার পর থেকেই তার দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন তিনি। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে বড় ছেলে বাপ্পি সড়ক বিভাগে মাস্টার রুলে কাজ করছেন। সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টার থাকাকালিন রকির মা উশৃংখল চলাফেরা করতো। বিষয়টি রকির নজরে আসলে তার মাকে এবিষয়ে বিরত থাকতে বলে। কিন্তু মমতাজ বেগম রকির কথায় কর্নপাত না করে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়াতো। এতে রকির বিষয়গুলো সহ্য হতো না। তাই মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ড সহ্য করতে না পেরে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সে আলোকে ঘটনার সময় ধারালো চুরি দিয়ে তার মাকে হত্যা করে। পরবর্তীতে মরদেহ থেকে হাত-পা খন্ডিত করে। এরআগে মমতাজের মেয়ে রোজি আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর মডলে থানায় মামলা দায়ের করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন