চৌমুহনীতে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
- / ৫১
মোজাম্মেল হক লিটন:
২৬ বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়লেন নোয়াখালীর চৌমুহনীর ব্যবসায়ী ও হক লাইব্রেরির মালিক ফজলুল হক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামাল উদ্দিন (৫৫)।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে প্রেফতার করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রেপ্তার আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ১ট ৩০মিনিট এর সময় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আকনগলি এলাকা থেকে তাকে প্রেফতার করে র্যাব-১১।
গ্রেফতার জামাল উদ্দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মৃত ছাদু মিয়ার ছেলে। র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার উপ পরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিন ও আবুল হাসেমসহ কয়েকজন মিলে চৌমুহনী রেল স্টেশন রোডের হক লাইব্রেরির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) সামছুল হকের বড় ছেলে ফজলুল হককে মাইক্রো বাসযোগে অপহরণ করে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পায়নি। পরে একই বছরের ৯ ফেব্রæয়ারি ফজলুল হকের বাবা সামছুল বাদী হয়ে সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা ও অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে জানায়, হত্যাকারীরা নিহতের মরদেহ গুম করেছে। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার যাবজ্জীবন কারাদন্দের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আবুল হাসেম উপস্থিত থাকলেও জামাল উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আসামি জামাল উদ্দিন নাম পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে চলে যান। র্যাবের সদস্যরা তথ্য-প্রযুক্তি সহায়তায় এবং ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসামির পরিচয় শনাক্ত করে এবং গোয়েন্দা দলের তথ্য সংগ্রহপূর্বক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিনকে ২৬ বছর পর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানায় তাকে হস্থান্তর করা হয়েছে।