০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে সড়ক বিভাগের কোয়াটার থেকে নারীর খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে মমতাজ বেগম (৪৭) নামে এক নারীর কয়েক খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ এপ্রিল ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারী মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ ও ছোট ছেলের সাথে মনোমালিন্য থেকে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ছোট ছেলে রকি লাপাত্তা রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে এমন কথাই জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক ও জনপদ বিভাগের ড্রাইভার পদে চাকুরী করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গেলো এক বছর থেকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়াটারের এই বাসায় দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন মমতাজ বেগম। ঈদের ছুটিতে ছোট ছেলে রকিকে বাসায় রেখে বড় ছেলে বাপ্পিকে নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ এলাকায় ঈদ করতে যান মমতাজ বেগম। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাপ্পি তার মাকে একটি সিএনজি অটোরিকসা করে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোয়াটারের বাসায় পাঠায়। পরে রাত ৯টার দিকে বাপ্পি বাসায় ফিরে দেখে ঘরে তালা লাগানো। এসময় ফোনেও তা মাকে না পেয়ে সে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এসময় জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসার পিছনের দরজা খুলে ওই নারীর কয়েক খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই নিহতের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকি লাপাত্তা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রকি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিহত মমতাজের স্বামী আব্দুল মতিন সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাড়ি চালক পদে চাকুরী করতেন। প্রায় ১৮ বছর আগে মারা যান তিনি। এরপর বেশ কয়েক বছর মমতাজ বেগম ওই দপ্তরে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে পিয়নের কাজ করতেন। গত দুই-তিন বছর থেকে মমতাজের বড় ছেলে বাপ্পী দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পিয়নের চাকুরী নেয়। এর সুবাধে গত এক বছর ধরে দুই ছেলে নিয়ে স্টাফ কোয়াটারের ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন মমতাজ বেগম।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, এহত্যাকাণ্ডটি একটি বীভৎস হত্যাকাণ্ড। ছোট ছেলে রকির সাথে মায়ের মনোমালিণ্য থেকে এ হত্যাকন্ডটি ঘটতে পারে। ঘটনার পর থেকেই রকি নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। রকিকে খুঁজে পেলে এ নৃশংস হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। তদন্তের সার্থে বড় ছেলে বাপ্পাীকে পুলিশের কাছে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লক্ষ্মীপুরে সড়ক বিভাগের কোয়াটার থেকে নারীর খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১০:০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে মমতাজ বেগম (৪৭) নামে এক নারীর কয়েক খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ এপ্রিল ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারী মরদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ ও ছোট ছেলের সাথে মনোমালিন্য থেকে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ছোট ছেলে রকি লাপাত্তা রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে এমন কথাই জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক ও জনপদ বিভাগের ড্রাইভার পদে চাকুরী করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গেলো এক বছর থেকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়াটারের এই বাসায় দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন মমতাজ বেগম। ঈদের ছুটিতে ছোট ছেলে রকিকে বাসায় রেখে বড় ছেলে বাপ্পিকে নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ এলাকায় ঈদ করতে যান মমতাজ বেগম। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাপ্পি তার মাকে একটি সিএনজি অটোরিকসা করে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোয়াটারের বাসায় পাঠায়। পরে রাত ৯টার দিকে বাপ্পি বাসায় ফিরে দেখে ঘরে তালা লাগানো। এসময় ফোনেও তা মাকে না পেয়ে সে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এসময় জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসার পিছনের দরজা খুলে ওই নারীর কয়েক খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই নিহতের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকি লাপাত্তা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রকি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিহত মমতাজের স্বামী আব্দুল মতিন সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাড়ি চালক পদে চাকুরী করতেন। প্রায় ১৮ বছর আগে মারা যান তিনি। এরপর বেশ কয়েক বছর মমতাজ বেগম ওই দপ্তরে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে পিয়নের কাজ করতেন। গত দুই-তিন বছর থেকে মমতাজের বড় ছেলে বাপ্পী দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পিয়নের চাকুরী নেয়। এর সুবাধে গত এক বছর ধরে দুই ছেলে নিয়ে স্টাফ কোয়াটারের ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন মমতাজ বেগম।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, এহত্যাকাণ্ডটি একটি বীভৎস হত্যাকাণ্ড। ছোট ছেলে রকির সাথে মায়ের মনোমালিণ্য থেকে এ হত্যাকন্ডটি ঘটতে পারে। ঘটনার পর থেকেই রকি নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। রকিকে খুঁজে পেলে এ নৃশংস হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। তদন্তের সার্থে বড় ছেলে বাপ্পাীকে পুলিশের কাছে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন