ভোগান্তিকেও হার মানাল ঈদ আনন্দ
- আপডেট সময় : ১০:০২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
- / ৬৫
রিপন কান্তি গুণ,নেত্রকোনা:
‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে আশা,ঈদ মানে দূর আকাশে, মিষ্টি চাঁদের হাসি। আর এই ঈদ উৎসবের আনন্দকে পরিবারের সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে দূরদূরান্ত থেকে নিজের কর্মস্থল ছেড়ে একান্তই নাড়ির টানে শত কষ্টকে উপেক্ষা করে সপরিবারে ছুটে যাচ্ছেন নিজ জন্মস্থানে। মা-বাবা, ভাই-বোন, ও আত্মীয়-স্বজন সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে।
দেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শনিবারই (২২ এপ্রিল) সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে, গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মানুষের বাড়ি ফেরার পালা। ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সরকারি কর্মকর্তাদের ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল। তাই এদিন দুপুর থেকেই রাজধানী থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল ছিল। এদিন পরিবারসহ যাত্রীর সংখ্যাই বেশি ছিল।
সরজমিনে দেখাগেছে, নেত্রকোনা আন্তঃ জেলা বাসস্ট্যান্ড, রাজুরবাজার বাসস্ট্যান্ড ও বনোয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডেসহ মালনী সিএনজি স্ট্যান্ড এবং রাজুরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডও ঘরমুখো যত্রীদের প্রচন্ড চাপ লক্ষ করা গেছে। যারা বাসের টিকিট পাননি তারা অটোরিকশা অথবা সিএনজি করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাছেন। আবার কেউ কেউ মোটরসাইকেল ভাড়া করেও গন্তব্যে পৌঁছাছেন। অপরদিকে নেত্রকোনা বড় স্টেশন, কোর্ট স্টেশন ঘুরেও একই অবস্থা দেখাগেছে।
নেত্রকোনা রাজুরবাজার ও বনোয়াপাড়া বাস মালিক সমিতির তথ্য মতে, ঈদে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পরিমান বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জে প্রতিটি বাস দিনে দুই ট্রিপ দেবে। প্রতি বাস গড়ে ৪০ জন যাত্রী পরিবহন করবে।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ জানান, ‘ফিটনেসবিহীন বাস ঈদের সময় কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে রং করে সড়কে নামবে এটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এবার ঈদে ফিটনেসবিহীন কোন বাস চলতে দেওয়া হবে না। চললেই আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছি। ভেঙে ভেঙে গেলে যাবার খরচ কিছুটা কম লাগে। তবে যেতে একটু কষ্ট হবে। তাও বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করবো এটাই আনন্দ।’
এদিকে ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে সবাই নিজেদের মতো করে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ গণপরিবহন, কেউ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেটকার বা মাইক্রোতে নাড়ির টানে ছুটেন বাড়ির দিকে। কেউ কেউ নিজের মোটরসাইকেল নিয়েও রওনা হয়েছেন। তবে স্বল্প আয়ের মানুষরা পিকআপ, ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, জনগনস্বার্থে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। যানযট নিরসনে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য জনগণ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এবং সবার সাথে আনন্দে ঈদ করতে পারে।