১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঈদ উপলক্ষে জামদানি শিল্পীরা নিপুণ হাতে নিখুঁত বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ নুর আলম,রূপগঞ্জ:

বাঙালি নারীদের কাক্ষিত পছন্দের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামদানি শিল্পিরা। আসন্ন ঈদে দাহিদা পূরণে নাওয়া খাওয়ার ফুসরত নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে পণ্য চাহিদার যোগান দিতে দিন-রাত শ্রম দিচ্ছেন রূপগঞ্জের জামদানি তাঁত শিল্পিরা। উপজেলার জামদানিপল্লীতে চলছে জামদানি তৈরির মহোৎসব। সেই সঙ্গে রাত-দুপুরের হাটে জমজমাট বেচাকেনা। জামদানি পণ্যের চাহিদার সাথে দামও এবার ভালো যাবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই জামদানি শিল্পের উপড় নির্ভরশীল ক্রেতা, বিক্রেতা ও তাঁতি সবার মুখেই ফুটে ওঠেছে হাসির ছাপ। দিন-রাত্রির প্রচুর পরিশ্রম করেও মুখে এতটুকুও ক্লান্তি নেই জামদানি শিল্পিদের। বছরজুড়েই জামদানি পণ্যের চাহিদা কম-বেশি থাকলেও ঈদ চাহিদাকে সামনে রেখে বেড়েছে কারিগরদের কর্মব্যস্ততা।
জামদানি শাড়ি বিক্রিকে ঘিরে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাশে ডেমরায় গড়ে উঠেছে জামদানির পণ্যের হাট। প্রতি শুক্রবার অন্ধকার রাত থেকে জমতে শুরু করে এ হাট। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে পুরো জমজমাট হয়ে ওঠে। সকাল ৯টা থেকে ১০ টার ভেতর বেঁচা-কেনা শেষ ভেঙ্গে যায় হাট। এ ছাড়া জামদানি শাড়ি বিক্রিকে ঘিরে প্রতি বৃহস্পতিবার শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাশে নোয়াপাড়া বিসিক জামদানি নগড়িতে গড়ে ওঠেছে জামদানির হাট। অন্যদিকে নোয়াপাড়া বিসিক জামদানি নগরিতে জামদানি পণ্য বিক্রির জন্য গড়ে ওঠেছে ৪০ থেকে ৪৫ টি জামদানি ঘর। সকাল থেকে রাত অব্দি এসব দোনে জাদদানি পণ্য বিক্রি করা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন জামদানি শাড়ি কিনতে। এছাড়াও প্রায় দুই শতাধিক পাইকার বিভিন্ন প্রকার জামদানি ক্রয় করে মার্কেটের দোকান-পাট ও দেশ-বিদেশে বিক্রি করে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাচীন কালে ইংরেজ আমলে সর্বোৎকৃষ্ট জামদানি (মসলিন) তৈরি করার অপরাধে শিল্পীদের আঙুল কেটে দেওয়া থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও রক্তচোষা মহাজনদের লুণ্ঠনের পরও ঢাকাই এ জামদানি শিল্প বহু চড়াই-উতরাই পার করে স্বগৌরবে টিকে আছে। ১৯৭৫ সালে প্রাচ্যের ড্যান্ডি ক্ষ্যাত নারায়ণগঞ্জে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার জামদানি তাঁতি ছিল । বর্তমানে দেড় হাজার পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। সময়ের সাথে তাঁত আর তাঁতির সংখ্যা কমলেও জামদানি শাড়ি এখোনো ধরে রেখেছে তার ঐতিহ্য। উৎসব –আনন্দে বাঙালি নারীদের কাক্ষিত পছন্দের তালিকায় রয়েছে জামদানি শাড়ি। তাইতো ঈদ আসলেই জামদানির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তাঁতিদেরও কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
উপজেলার জামদানি তাঁতগুলোতে অসংখ্য মনোরম ডিজাইনের শাড়ি তৈরী করে থাকেন জামদানি শিল্পীরা। এর মধ্যে ফুলতেরছি, ছিটার তেরছি, ছিটার জাল, সুই জাল, হাটু ভাঙা, তেরছি, ডালম তেরছি, পার্টিরজাল, পান তেরছি, গোলাপ ফুল, জুঁই ফুল, পোনা ফুল, শাপলা ফুল, গুটি ফুল, মদন পাইরসহ বেশ কিছু ডিজাইনের শাড়ির বাজারে আনেক চাহিদা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিটার জাল,সুই জাল ও পার্টির জাল জামদানির মূল্যে সবচেয়ে বেশি।
উপজেলার তাঁতিদের তৈরি এসব জামদানি শাড়ি বাজারে ৩ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। সহজ ডিজাইনের শাড়ি বুনতে এক সপ্তাহ থেকে পনের দিন সময় লাগলেও নিখুঁত বুননের শাড়িগুলো তৈরি করতে ৩ মাস থেকে ৬ মাস সময়ও লেগে যায়।
জামদানি শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, শাড়ি তৈরিতে সূতাসহ প্রাসঙ্গিক সকল কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে খরচ আগের থেকে কিছুটা বেড়েগেছে। এদিকে অর্থ সংকটের কারণে মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে শাড়ি তৈরি করার কারণে তারা তেমন লাভের মূখ দেখেনা। তবুও ঈদ উপলক্ষে চাহিদার সাথে বিক্রি বাড়ায় পোষিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। স্বল্প মুল্য থেকে উচ্চ মুল্য সকল প্রকার জামদানি শাড়ি তৈরি হয় এখানকার তাঁতগুলোতে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সরাসরি তাঁত থেকে কেনার পাশা-পাশি নোয়াপাড়া বিসিকের ভেতর অনেক জামদানি ঘর থেকেই অনলাইনেও শাড়ি কেনার ব্যবস্থাও রয়েছে।
জামদানি তাঁতি আব্দুল করিম বলেন, সূতা সহ প্রাসঙ্গিক সকল কাচাঁমালে মুল্য বৃদ্ধি আর অর্থ সংকটে মহাজনদের দাদনের জালে পরে ‘অহন আর জামদানি কারিগররা ভালা নাই। আমোগো পরিশ্রমের লাভ মধ্যসত্ব ভোগিরা খায়।তবে ঈদ উপলক্ষে চাহিদার সাথে বিক্রি বাড়ায় আমরা আশার আলো দেখছি।
উপজেলার বিসিক জামদানি নগরির তাঁতশিল্পী খোদেজা আক্তার বলেন, ২০ বছর যাবত তাঁতে জাদদানি শাড়ি বুনি। নিখুঁত বুননে জামদানি শাড়ি তৈরি করেই সময় কাটে। তবে ঈদ আসলে আমাদের কাজের চাপ বাড়ে। আয় রোজিও ভাল হয়। বিসিকের জামদানি পল্লীতে শাড়ি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নারী সামসুন্নাহার জেবা জানান, বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্য তো শাড়িতেই। সব সময়তো অন্য শাড়ি পরিধান করি। কিন্তু ঈদের পোশাকে একটু ভিন্নতা ও কাঙ্খিত জামদানি শাড়ি দেখে শুনে কিনতে এখানে এসেছি।
ফাহিম জামদানি হাউজের মালিক ফাহিম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বছর জুরেই বাজারে জামদানির যথেষ্ঠ চাহিদা থাকে। তবে ঈদ এলে জামদানি পণ্যের চাহিদা আরও বাড়ে। এতে ঈদ উপলক্ষে এ শিল্প সংশ্লিষ্ঠ সকলের কর্মব্যাস্ততা অনেকাংশে বেড়ে যায়।তবে তাঁত শিল্পি ও ব্যাবসায়ীদের বাড়তি আয়ের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।
উপজেলার বিসিক জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষনা কেন্দ্রের শিল্প নগরী কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন বলেন, উৎসব আনন্দে বাঙালি নারীদের কাক্সিক্ষত সখের বস্তু জামদানি শাড়ি।এক সময় এ শাড়ি এলিট পরিবারের নারীরা পরিধান করতো। সময়ের ব্যাবধানে জামদানি শাড়ি এখন উচ্চবৃত্ত, উচ্চমধ্যবৃত্ত ও মধ্যবৃত্ত পরিবারে নারীদের পরিধানে শোভা পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদ উপলক্ষে জামদানি শাড়ির চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুন বেড়ে যায়। এ সময়টাতে তাঁতিদের কর্মব্যাস্ততার পাশাপাশি আয় রোজগার বেড়ে যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঈদ উপলক্ষে জামদানি শিল্পীরা নিপুণ হাতে নিখুঁত বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন

আপডেট সময় : ০১:০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ নুর আলম,রূপগঞ্জ:

বাঙালি নারীদের কাক্ষিত পছন্দের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামদানি শিল্পিরা। আসন্ন ঈদে দাহিদা পূরণে নাওয়া খাওয়ার ফুসরত নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে পণ্য চাহিদার যোগান দিতে দিন-রাত শ্রম দিচ্ছেন রূপগঞ্জের জামদানি তাঁত শিল্পিরা। উপজেলার জামদানিপল্লীতে চলছে জামদানি তৈরির মহোৎসব। সেই সঙ্গে রাত-দুপুরের হাটে জমজমাট বেচাকেনা। জামদানি পণ্যের চাহিদার সাথে দামও এবার ভালো যাবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই জামদানি শিল্পের উপড় নির্ভরশীল ক্রেতা, বিক্রেতা ও তাঁতি সবার মুখেই ফুটে ওঠেছে হাসির ছাপ। দিন-রাত্রির প্রচুর পরিশ্রম করেও মুখে এতটুকুও ক্লান্তি নেই জামদানি শিল্পিদের। বছরজুড়েই জামদানি পণ্যের চাহিদা কম-বেশি থাকলেও ঈদ চাহিদাকে সামনে রেখে বেড়েছে কারিগরদের কর্মব্যস্ততা।
জামদানি শাড়ি বিক্রিকে ঘিরে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাশে ডেমরায় গড়ে উঠেছে জামদানির পণ্যের হাট। প্রতি শুক্রবার অন্ধকার রাত থেকে জমতে শুরু করে এ হাট। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে পুরো জমজমাট হয়ে ওঠে। সকাল ৯টা থেকে ১০ টার ভেতর বেঁচা-কেনা শেষ ভেঙ্গে যায় হাট। এ ছাড়া জামদানি শাড়ি বিক্রিকে ঘিরে প্রতি বৃহস্পতিবার শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাশে নোয়াপাড়া বিসিক জামদানি নগড়িতে গড়ে ওঠেছে জামদানির হাট। অন্যদিকে নোয়াপাড়া বিসিক জামদানি নগরিতে জামদানি পণ্য বিক্রির জন্য গড়ে ওঠেছে ৪০ থেকে ৪৫ টি জামদানি ঘর। সকাল থেকে রাত অব্দি এসব দোনে জাদদানি পণ্য বিক্রি করা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন জামদানি শাড়ি কিনতে। এছাড়াও প্রায় দুই শতাধিক পাইকার বিভিন্ন প্রকার জামদানি ক্রয় করে মার্কেটের দোকান-পাট ও দেশ-বিদেশে বিক্রি করে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাচীন কালে ইংরেজ আমলে সর্বোৎকৃষ্ট জামদানি (মসলিন) তৈরি করার অপরাধে শিল্পীদের আঙুল কেটে দেওয়া থেকে শুরু করে বর্তমান সময়েও রক্তচোষা মহাজনদের লুণ্ঠনের পরও ঢাকাই এ জামদানি শিল্প বহু চড়াই-উতরাই পার করে স্বগৌরবে টিকে আছে। ১৯৭৫ সালে প্রাচ্যের ড্যান্ডি ক্ষ্যাত নারায়ণগঞ্জে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার জামদানি তাঁতি ছিল । বর্তমানে দেড় হাজার পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। সময়ের সাথে তাঁত আর তাঁতির সংখ্যা কমলেও জামদানি শাড়ি এখোনো ধরে রেখেছে তার ঐতিহ্য। উৎসব –আনন্দে বাঙালি নারীদের কাক্ষিত পছন্দের তালিকায় রয়েছে জামদানি শাড়ি। তাইতো ঈদ আসলেই জামদানির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তাঁতিদেরও কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
উপজেলার জামদানি তাঁতগুলোতে অসংখ্য মনোরম ডিজাইনের শাড়ি তৈরী করে থাকেন জামদানি শিল্পীরা। এর মধ্যে ফুলতেরছি, ছিটার তেরছি, ছিটার জাল, সুই জাল, হাটু ভাঙা, তেরছি, ডালম তেরছি, পার্টিরজাল, পান তেরছি, গোলাপ ফুল, জুঁই ফুল, পোনা ফুল, শাপলা ফুল, গুটি ফুল, মদন পাইরসহ বেশ কিছু ডিজাইনের শাড়ির বাজারে আনেক চাহিদা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিটার জাল,সুই জাল ও পার্টির জাল জামদানির মূল্যে সবচেয়ে বেশি।
উপজেলার তাঁতিদের তৈরি এসব জামদানি শাড়ি বাজারে ৩ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। সহজ ডিজাইনের শাড়ি বুনতে এক সপ্তাহ থেকে পনের দিন সময় লাগলেও নিখুঁত বুননের শাড়িগুলো তৈরি করতে ৩ মাস থেকে ৬ মাস সময়ও লেগে যায়।
জামদানি শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, শাড়ি তৈরিতে সূতাসহ প্রাসঙ্গিক সকল কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে খরচ আগের থেকে কিছুটা বেড়েগেছে। এদিকে অর্থ সংকটের কারণে মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে শাড়ি তৈরি করার কারণে তারা তেমন লাভের মূখ দেখেনা। তবুও ঈদ উপলক্ষে চাহিদার সাথে বিক্রি বাড়ায় পোষিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। স্বল্প মুল্য থেকে উচ্চ মুল্য সকল প্রকার জামদানি শাড়ি তৈরি হয় এখানকার তাঁতগুলোতে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সরাসরি তাঁত থেকে কেনার পাশা-পাশি নোয়াপাড়া বিসিকের ভেতর অনেক জামদানি ঘর থেকেই অনলাইনেও শাড়ি কেনার ব্যবস্থাও রয়েছে।
জামদানি তাঁতি আব্দুল করিম বলেন, সূতা সহ প্রাসঙ্গিক সকল কাচাঁমালে মুল্য বৃদ্ধি আর অর্থ সংকটে মহাজনদের দাদনের জালে পরে ‘অহন আর জামদানি কারিগররা ভালা নাই। আমোগো পরিশ্রমের লাভ মধ্যসত্ব ভোগিরা খায়।তবে ঈদ উপলক্ষে চাহিদার সাথে বিক্রি বাড়ায় আমরা আশার আলো দেখছি।
উপজেলার বিসিক জামদানি নগরির তাঁতশিল্পী খোদেজা আক্তার বলেন, ২০ বছর যাবত তাঁতে জাদদানি শাড়ি বুনি। নিখুঁত বুননে জামদানি শাড়ি তৈরি করেই সময় কাটে। তবে ঈদ আসলে আমাদের কাজের চাপ বাড়ে। আয় রোজিও ভাল হয়। বিসিকের জামদানি পল্লীতে শাড়ি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নারী সামসুন্নাহার জেবা জানান, বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্য তো শাড়িতেই। সব সময়তো অন্য শাড়ি পরিধান করি। কিন্তু ঈদের পোশাকে একটু ভিন্নতা ও কাঙ্খিত জামদানি শাড়ি দেখে শুনে কিনতে এখানে এসেছি।
ফাহিম জামদানি হাউজের মালিক ফাহিম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বছর জুরেই বাজারে জামদানির যথেষ্ঠ চাহিদা থাকে। তবে ঈদ এলে জামদানি পণ্যের চাহিদা আরও বাড়ে। এতে ঈদ উপলক্ষে এ শিল্প সংশ্লিষ্ঠ সকলের কর্মব্যাস্ততা অনেকাংশে বেড়ে যায়।তবে তাঁত শিল্পি ও ব্যাবসায়ীদের বাড়তি আয়ের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।
উপজেলার বিসিক জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষনা কেন্দ্রের শিল্প নগরী কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন বলেন, উৎসব আনন্দে বাঙালি নারীদের কাক্সিক্ষত সখের বস্তু জামদানি শাড়ি।এক সময় এ শাড়ি এলিট পরিবারের নারীরা পরিধান করতো। সময়ের ব্যাবধানে জামদানি শাড়ি এখন উচ্চবৃত্ত, উচ্চমধ্যবৃত্ত ও মধ্যবৃত্ত পরিবারে নারীদের পরিধানে শোভা পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদ উপলক্ষে জামদানি শাড়ির চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুন বেড়ে যায়। এ সময়টাতে তাঁতিদের কর্মব্যাস্ততার পাশাপাশি আয় রোজগার বেড়ে যায়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন