নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৩:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ৬৩
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসকে আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানকে সদস্য সচিব করে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পদাধিকার বলে সাবেক সদস্য সচিব বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) প্রতিনিধি এম ফখরুল হক, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা ও সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক সাবেক দুবারের নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক আলপনা বেগম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ দৈনিক আজকাল পত্রিকার সাংবাদিক সুজাদুল ইসলাম, সাবেক কার্যকরী সদস্য সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক খলিলুর রহমান শেখ ইকবাল, এনটিভি ও বনিক বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক ভজন দাসসহ পাঁচজনকে সাংবাদিক কার্যকরী সদস্য রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব হলরুমে বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করেন সভাপতি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
এ সময় জেলা প্রেসক্লাবের সুধী সদস্যবৃন্দ ও সকল সাংবাদিক সদস্যবৃন্দর অংশগ্রহণ করেন ও বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন। ঘন্টাব্যাপী চলা সদস্য সচিব নির্বাচন ও সদস্য নির্ধারণ শেষে সর্ব সম্মতিক্রমে সভাপতি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, ‘প্রেসক্লাব মূলত সাংবাদিকদের সংগঠন হলেও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানা জটিলতা কাটিয়ে উঠতে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। সেইসাথে সুধী ও সাংবাদিকদের সমন্বয়েই ভোটে নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এরাই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ/২৩ দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়।
তবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার ছড়িয়ে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানটির মান ক্ষুন্নে অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র চলে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেসক্লাব থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া ব্যক্তি (যায়যায়দিন) পত্রিকায় কর্মরত চন্দন চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজীর নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বেশকজন সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভোটে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সাংবাদিক হলেও পরবর্তীতে সরকারি চাকরিতে কর্মরত হয়েছেন তিনজন সদস্য।
এমন অভিযোগ তুলে প্রেসক্লাব থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া চন্দন চক্রবর্তী মামলা দায়ের করেন। যদিও কার্যনির্বাহী কমিটির হতে যাওয়া কমিটিতে সুধী ও সাংবাদিক সদস্যরা বিভিন্ন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রেসক্লাব সদস্য না হলেও তার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই নেত্রকোনা জেলা জজ আদালত নির্বাচনী ভোটগ্রহণ স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে কর্মবিরতি, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ।
এমতাবস্থায় কার্যনির্বাহী কমিটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির চলমান মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পদাধিকার বলে সভাপতি জেলা প্রশাসক সাধারণ সভার মাধ্যমে আহবায়ক কমিটি নির্ধারণে বাধ্যবাধকতা থাকায় আপদকালীন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা করেন।