ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ ১০কিলো মিটার যানজটে ভোগান্তি
- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ৫৭
মোঃ নুর আলম,রূপগঞ্জ:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে কাঁচপুর থেকে আউখাব পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ার সাথে সড়কে যানচলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ যানজট বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে এ রমজানে প্রচন্ড তাপ দাহের সাথে মহা সড়কে যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থল ফেরা মানুষ, ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা যাত্রী সাধারণ ও পথোচারীরা।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে আউখাব পর্যন্ত উভয় দিকে সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে সৃষ্ট তীব্রযানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া নারী ও বৃদ্ধরা। এদিকে পবিত্র রমজান মাসে প্রচন্ড তাপদাহ সাথে সড়কে যানজট ভোগান্তি যেন মানুষের জীবন ওষ্টাগত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অসন্ন ঈদ যতোই এগুচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ৩টি পয়েন্ট থেকে প্রায় প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে বরপা বাসস্টপেজে রয়েছে লোকাল আরও চাটি যানবাহন স্ট্যান্ড। এসকল স্ট্যান্ডের যানের অবাধ বিচরণে হরহামেশায় তৈরি হচ্ছে যানজট। অন্যদিকে মহাসড়কের রূপসী ও বরাবতে উভয় দিকের লিংক রোডের মুখে লেগুনা, ইজিবাইক ও রিকশার অভয়ারণ্য হওয়ার কারণে ঠুনকো কারণেই যানজট হচ্ছে। ঈদ লগ্নে মহাসড়কে সৃষ্ট যানজট ভোগান্তি মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দেখা দিয়েছে।
রোকন মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, শিমরাইল মোড় যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে ৩০ মিনিট আগে বরপা থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু সড়কে যানজটে পরে এখোনো তারাব বিশ^রোড পার হতে পারিনি। যানজট বিহীন সড়কে এ পথ পারিদিতে সর্বোচ্চ ৬-৭ মিনিট লাগতো। কখন গন্তব্যে পৌঁচাবো তাও বলতে পারছিনা।
ঢাকা-সিলেট সড়কে চলাচলকারী যাতায়াত পরিবহনের যাত্রী অসিফুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে আমার তিন ঘণ্টা সময় লাগার কথা। তবে বরপা আসতেই লেগেছে দুই ঘন্টা। কখন গন্তব্য যেতে পারব তাও জানি না।
গোরি পরিবহনের চালক জোবায়ের আকন্দ জানান,মহাসড়কের বরপা, রূপসী, বরাব এলাকায় থেমে থেমে যানজট নিত্যনৈমিত্ত ব্যাপার। ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়ায় এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে পথে ভোগান্তি বেড়েছে। এভাবে যানজট লেগে থাকলে ঈদে বাড়তি আয় তো দূরের কথা সংসারের খরচ জোগানোই কঠিন হবে।
এ বিষয়ে ভূলতা হাইওয়ে ক্যাম্পের (ইনচার্জ) টিআই মো.ফারুক হোসেন বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে আমাদের কর্মকর্তারা যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের জন্য ২৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এক যোগে আমাদের পিকেট ডিউটি টিম ও হোনডা মোবাইল টিম কাজ করছে। যানজট তৈরি হওয়া স্পটগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর রয়েছে।