০৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রূপগঞ্জ সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জ চনপাড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ শ্রমিক ও এক স্থানীয় বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এই সংঘর্ষের শুরু হয়। সেখানে থেমে থেমে এখনও সংঘর্ষ চলছে।
আহতরা হলেন, পৃথক কারখানার শ্রমিক মো. সানি (১৭), পারভেজ (২১), মো. রুমান (১৮) এবং স্থানীয় বাসিন্দা ইমন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চানপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার নিয়ন্ত্রণ পত্র ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু। বজলুর রহমান বজলু মারা যাওয়ার পর থেকেই চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার আধিপত্য নিজেদের দখলে নিতে জয়নাল গুরু শমসের গ্রুপ ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। আর চনপাড়া দখলকে কেন্দ্র করে ওই ৩ গ্রুপ আলাদাভাবে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আসছে।
আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সকালে জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে শমসের ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়।এ সময় সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর ও দোকানপাটেও লুটপাট করানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদের মধ্যে ইমনকে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকেও ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল আলম জানান, তাকে (ইমন) কিছুক্ষণ আগে আনা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ হবার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন আহতরা বলেন, তারা চনপাড়ায় থাকেন। সকালে স্থানীয় কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তারা সেখান দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, সম্রাট ও রুমানের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আর সানির পুরুষাঙ্গের পাশে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঘটনাটি রুপগঞ্জ থানা এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

আপডেট সময় : ১২:২২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রূপগঞ্জ সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জ চনপাড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ শ্রমিক ও এক স্থানীয় বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এই সংঘর্ষের শুরু হয়। সেখানে থেমে থেমে এখনও সংঘর্ষ চলছে।
আহতরা হলেন, পৃথক কারখানার শ্রমিক মো. সানি (১৭), পারভেজ (২১), মো. রুমান (১৮) এবং স্থানীয় বাসিন্দা ইমন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চানপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার নিয়ন্ত্রণ পত্র ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু। বজলুর রহমান বজলু মারা যাওয়ার পর থেকেই চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার আধিপত্য নিজেদের দখলে নিতে জয়নাল গুরু শমসের গ্রুপ ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে। আর চনপাড়া দখলকে কেন্দ্র করে ওই ৩ গ্রুপ আলাদাভাবে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আসছে।
আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সকালে জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে শমসের ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়।এ সময় সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর ও দোকানপাটেও লুটপাট করানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদের মধ্যে ইমনকে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকেও ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল আলম জানান, তাকে (ইমন) কিছুক্ষণ আগে আনা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ হবার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন আহতরা বলেন, তারা চনপাড়ায় থাকেন। সকালে স্থানীয় কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তারা সেখান দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, সম্রাট ও রুমানের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আর সানির পুরুষাঙ্গের পাশে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঘটনাটি রুপগঞ্জ থানা এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন