ঝালকাঠীতে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে টিআই শাহ আলমের ব্যাভিচারের অভিযোগ উঠেছে
- আপডেট সময় : ০৮:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ৬০
বরিশাল সংবাদদাতা:
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহ আলম মৃধার বিরুদ্ধে একাধিক মেয়ের সাথে প্রেম করে তাদেরকে ভোগ করার কাহিনী এখন মানুষের মুখে মুখে। চোরের দশ দিন গৃহস্তের একদিন। টিআই শাহ আলমের ১ম স্ত্রী ও বিবাহ যোগ্য মেয়ে থাকার পরেও তার প্রায় ষাট বছর বয়সে ঝালকাঠীর জেলা পরিষদের নাইট গার্ড আবজালের মেয়ে খালেদা আক্তার ছবির সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর পরকিয়া করার পর এক পর্যায়ে ছবি মিথ্যা গর্ভবতীর নাটক করে টিআই শাহ আলমকে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করে। টিআই শাহ আলম ১ম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে ছবিকে বিয়ে করে গোপনে সংসার শুরু করে। এক পর্যায়ে ছবির অতিরিক্ত লোভের কারণে টিআই শাহ আলম তাকে ৩০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়। এরপরও ছবি তার নামে জমি লিখে দিতে হবে জানালে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং গত ২২/০৩/২০২৩ ইং বরিশাল বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক বরিশাল কার্যালয়ের মাধ্যমে তালাক দেয় এবং মুখে তিন তালাক দিয়ে ছবিকে চিরতরে তালাক দেওয়ার তিন দিন পরে আবার পুনরায় ছবির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর জন্য গত ০৬-০৩-২০২৩ রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার পরে ঝালকাঠী পোস্ট অফিসের সামনে মীর হাসানের বাড়ীর ৩য় তলায় খালেদা আক্তার ছবিদের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী খালেদা আক্তার ছবির সাথে একই রুমে অবস্থান করে টিআই শাহ আলম। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে উক্ত ঠিকানায় পৌঁছে খালেদা আক্তার ছবির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সাংবাদিকদেরকে তালাক উঠিয়ে নেওয়ার একটি আবেদনপত্র হাতে ধরিয়ে দেয়। সাংবাদিকরা এগুলো নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখলে সেখানে স্থানীয় আশেপাশের অনেক লোকজনের সমাগম ঘটে। চতুর খালেদা আক্তার ছবির বাবা সবাইকে নিয়ে পাশের একটি ক্লাবে বসলে রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় টিআই শাহ আলম এবং ছবি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। টিআই শাহ আলম যখন খালেদা আক্তার ছবিকে তালাক দিয়েছিল তার কয়েকদিন পর ২৯-০৩-২০২৩ ইং খালেদা আক্তার ছবি বিজ্ঞ জনাব রেজোয়ানা আফরিন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার জেলা ও দায়রা জজ আদালত কার্যালয় বরিশাল বরাবর একটি অভিযোগ টিআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে করেন। ছবি এর পূর্বে রাজাপুরের একজন ব্যবসায়ীর সাথে গর্ভবতীর নাটক করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। টিআই শাহ আলম তার চাকুরি জীবনে যেখানে যেখানে পোস্টিং হয়েছে, সেখানেই কোন না কোন মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। এসব ঘটনার বিস্তারিত নিয়ে থাকবে একজন নষ্ট শাহ আলমের কাহিনী। যিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশ ও জনগণের সেবা দেওয়ার নামে নিজের চরিত্রকে বার বার কলুষিত করছে। এ বিষয় নিয়ে হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের পরিচালক জিয়াউল হকের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, এ ধরনের লোককে চাকুরিচ্যুত করে অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া উচিৎ। কারণ যিনি নিজের সংসার এবং নিজের চরিত্র ঠিক রাখতে পারেনা তিনি দেশের আইন কিভাবে মানবে।