দুর্লভ ঐতিহ্যের ধারক রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর
- আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ৫২
মো:শাহাদাত হোসেন:
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। একটি প্রত্ন সমৃদ্ধে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এটি পরিচালনা করে থাকে। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেমখাঁ তে অবস্থিত।
এটিই বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎকুমার রায় আইনজীবী অক্ষয় কুমারের মৈত্র এবং রাজশাহী কলেজের শিক্ষক রামপ্রসাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য নিদর্শন সংগ্রহ সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ওই বছর তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণের জন্য শরৎকুমার এর দান করার জমিতে জাদুঘরটি নিজস্ব ভবন এর কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হাজার ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটির উদ্বোধন করেন। ১৯১১খ্রিস্টাব্দে কলকাতার জাদুঘর অকস্মাৎ এী সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল এর প্রচেষ্টায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে জারিকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘর কে এই নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যাপারে স্বাধীকার প্রদান করা হয়।
এখানে হাজার বছর আগের সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে পাথরের মূর্তি, খ্রিস্টিয় একাদশ খ্রিস্টাব্দের বুদ্ধমূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তিসহ হাজার-হাজার মূর্তির নিদর্শন রয়েছে। এখানে অনেক বছর আগের মুদ্রাও দেখতে পাওয়া যায় যেমন, মুঘল আমলের রুপ্য মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।